গত ১০ বছর ধরে সম্প্রচারিত হচ্ছে টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। বাঙলার ঘরে ঘরে মহিলাদের কাছে অন্য মহিলাদের সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরে অনুপ্রেরণার জায়গা হয়ে উঠেছে জি বাংলার এই শো’টি। তার সাথে রচনা ব্যানার্জীর অনবদ্য সঞ্চালনা তো আছেই।
তবে এবার এই শো নিয়েই উঠেছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। নেটিজেনদের মতে ‘টিআরপি’ বাড়াতে বাংলার মহিলাদের নিয়ে নানা ধরনের ভুয়ো নাটক দেখাচ্ছে নির্মাতারা। কিছুটা এমনই অভিযোগ তুলেছেন বেহালার এক বাসিন্দা।
জানা গেছে কিছুদিন আগেই তার প্রাক্তন স্ত্রী এই মঞ্চে এসেছিলেন এবং তাদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। আর সেই মন্তব্য নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন উক্ত ব্যক্তি। তার মতে, রচনা কেবল একপক্ষের কথাই শুনেছেন। তালি যে একহাতে বাজে না সে খেয়াল কি রেখেছেন সঞ্চালিকা!
তার মতে, একটি সংসার ভাঙার পেছনে থাকে বহু কারণ। সেইসব খোঁজ না রেখে কেবল একপক্ষের কথা শুনে অন্যজনকে ভিলেন বানিয়ে তাকে ন্যাশনাল টেলিভিশনে ছোট দেখানোর চরম নিন্দা করেছেন তিনি। আর তার সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন বহু মানুষ।
তার বক্তব্য, “কিছু মেয়ের জন্য আজ অনেক ছেলেরাও অত্যাচারিত। হাতজোড় করে বলছি দিদি নাম্বার ওয়ানের মতো রিয়েলিটি শো বন্ধ করা হোক।” তিনি বলেছেন, “প্রয়োজনে দুই তরফকেই ডাকুন, সামনাসামনি কথা হোক”। এইসব শো তে একপক্ষের কথা শুনে অপরজনকে ভিলেন তো বানিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু তাতে উল্টো দিকের মানুষটার কত ক্ষতি হয় তা আর কেউ দেখেনা।
তার এই সাক্ষাৎকারের পর গলা চড়িয়েছে আরো অনেকেই। কেউ কেউ লিখেছে, দিদি নাম্বার ওয়ানের মত এবার দাদা নাম্বার ওয়ানেরও বন্দোবস্ত হওয়া দরকার। তাহলে অনেকেরই মুখোশ খুলে যাবে। তাতে একজন সমর্থন জানিয়ে বলেছে, “একদম সহমত। Publicly একতরফা কাঁদুনি গেয়ে মেয়েরা চলে যায় সহানুভূতি কুড়িয়ে। এই কাঁদুনি বেচে যেসব শো চলে সেগুলো বন্ধ হওয়াই উচিত।”