আগামীদিনে কার ভাগ্য কোন দিকে মোড় নেবে তা কেউই বলতে পারে না। তেমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল দিল্লির এক ব্যক্তির সঙ্গে। আসলে ১৯৯০ সালে ওই ব্যক্তি এমআরএফ-র কিছু শেয়ারগুলি কিনেছিলেন। কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই তিনি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসকেরা তার প্রাণ বাঁচালেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
সেই থেকে তিনি কোমায় চলে যান। এই সময় তার পুরো পরিবার পাশে ছিল তার সেবা যত্নের কোন কমতি রাখেননি তারা। এরপর ঘরের চার দেয়ালে কেটে যায় জীবনের ২৯টি বছর। এরপর হঠাৎ একদিন তার জ্ঞান ফিরে আসে। কোমা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে জানতে পেরেছিলেন তিনি ১৩০ কোটি টাকার মালিক! কিন্তু কিভাবে সম্ভব হয়েছিল? এর পিছনে ছিল কিছুটা বিচারবুদ্ধি ও বাকিটা ভাগ্য।
তাকে নতুন করে পরিবার-পরিজন থেকে সব কিছুই চিনতে হয়েছিল। এমনকি এই পরিবেশে একটু একটু করে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছিলেন। একদিন তিনি ওই দুর্ঘটনার আগের স্মৃতিগুলো মনে করে, এক এক করে বলছিলেন। তখনই মনে পড়ে যায় ওই এমআরএফ-এর শেয়ারের কেনার কথা। খুবই অল্প দামে তখন ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন এমআরএফ-এর শেয়ারগুলি। কিন্তু এত পুরনো শেয়ার কি আদৌ এখন আর বিক্রি করা যাবে?
নাতি রবিই এক দিন দাদুকে পাশে নিয়ে ওই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ফোন করেন। সব ঘটনা তিনি খুলে বলেন।
ওই ব্যক্তির নাতি এক টেলিভিশনে ফোন করে সব ঘটনা তিনি খুলে বলেন। তার প্রশ্ন ছিল পুরনো শেয়ারগুলি কি বিক্রি করা যাবে? বিশেষজ্ঞরা তাকে জানান, প্রথমে তার দাদুর নামে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে আর সেখান থেকেই কেনাবেচা করতে পারবেন। এরপরই অনুষ্ঠানে হাজির থাকা আরেক বিশেষজ্ঞ তাকে হিসাব করে জানিয়ে দেন যে, ওই ২০ হাজার শেয়ারের বাজারমূল্য এখন ১৩০ কোটি টাকা! ২০১৯ সালের ওই অনুষ্ঠানের অংশটুকু রীতিমতো সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে যায়।