২০২২ সালের ২৯শে মার্চে পড়েছে মাসের শেষ মঙ্গলবার এবং চৈত্র মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার । প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, মঙ্গলবারের সাথে মঙ্গল গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে, এই দিনকে হনুমানজির দিনও বলা হয়।শুধু তাই নয়, মঙ্গলকে শক্তির কারক বলে মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, মঙ্গলবার হনুমানজিকে প্রসন্ন করার জন্য দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি যদি কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তবে তার কষ্টগুলি অল্প সময়ের মধ্যেই দূর হয়ে যায় এবং ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়। যদিও এগুলি বহুদিন ধরে প্রচলিত ধারণার সাথে যুক্ত। এর সাথে কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, তাই এই উপায়গুলি মানা বা না মানা ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার।
মঙ্গলবারের বিশেষ উপায়
• মঙ্গলবার রাম মন্দিরে যেতে হবে। ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে সীতা মাতার শ্রী রূপের পায়ে এবং হনুমানজির শ্রী রূপের কপালে সিঁদুর লাগান এবং আপনার ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করুন।
•শনিবার বা মঙ্গলবার সকালে বাড়ির দরজায় লেবু লাগিয়ে নীচের সুতোয় চারটি কাঁচা লঙ্কা এবং উপরে ও মাঝখানে তিনটি কাঁচা লঙ্কা ঝুলিয়ে দিন। এটি নেতিবাচকতা দূর করে এবং সংসারে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে।
•কালো তিল, বার্লি, ময়দা এবং তেল মিশিয়ে মিশ্রন বানান। এটি থেকে একটি রুটি তৈরি করে তাতে তেল ও গুড় ছিটিয়ে সাতবার মহিষকে খাওয়ান। শনিবার বা মঙ্গলবার এই প্রতিকার করুন।
• যদি একটি ছোট শিশু খুব কান্নাকাটি করে, তবে রবিবার বা মঙ্গলবার, নীলকন্ঠের একটি পালক নিন এবং শিশুটি যে বিছানায় ঘুমায় তাতে রাখুন। শীঘ্রই শিশুর কান্না কম হবে।
• মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হনুমানজিকে সুগন্ধি এবং গোলাপের মালা অর্পণ করুন। হনুমানজিকে খুশি করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়
•জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য হনুমান জির মন্দিরে যান এবং রাম রক্ষা স্তোত্র পাঠ করুন।
•মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, হনুমান মন্দিরে যান এবং সরিষার তেল কিংবা একটি খাঁটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান, তারপর সেখানে বসে হনুমান চালিসা পাঠ করুন।
এগুলি হনুমানজির আশীর্বাদ পাওয়ার কিছু নিশ্চিত উপায়। এই বিশেষ প্রতিকারগুলি আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করতে পারে এবং জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর করতে পারে।