“মায়ের আদেশ,পুজো করবে মেয়ে”। ঘটনাটা আজকের নয়। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগের। ‘স্বপ্নে মায়ের আদেশ, আমার পুজো কর’, মুসলিম গৃহবধূ শেফালির হাত ধরে মুসলিম প্রধান গ্রামে শুরু হয় মা কালীর পুজো। দেখতে দেখতে টানা তিন দশক। প্রথমে সমাজের অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে কালী পুজো এখন মালদার কেন্দুয়া গ্রামের ঘরোয়া উৎসব। গ্রামের হিন্দু-মুসলিম সবাই সার্বজনীন রূপে বিশ্বজনীন মায়ের আরাধণা করেন।
মায়ের আশীর্বাদেই সন্তানের জীবন মঙ্গলময় হয়ে ওঠে।ভক্তদের জীবনকে সুন্দর করে সাজিয়ে, গুছিয়ে তুলতে মা সাহায্য করেন।মায়ের কৃপাতেই সন্তানের জীবন পূর্ণতা পায়।দয়াময়ী ও কৃপাময়ী মা বলা হয় এই কালীঘাটের মা কালীকে।
মায়ের আশির্বাদ প্রদত্ত শক্তিতেই সন্তানের জীবনের সকল দুর্দশা একনিমেষে দূর হয়ে যায়।
সারা দেশ ব্যাপী যখন অসহিষ্ণুতার বাতাবরণে একটা সাম্প্রদায়িক রাহাজানির আশঙ্কায় গোটা দেশ তখন শেফালী বিবির এই নজির গোটা ভারতসহ সারা বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতীক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ।