ইচ্ছা আর মনোবল থাকলে যে কোনো কঠিন কাজ খুব সহজেই সফলতার পথে এগিয়ে যায়। সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন কেরালার মান্নারের বাসিন্দা শ্রীনাথ। কঠিন বাস্তবের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে আজ তিনি সাফল্য অর্জন করে নিয়েছেন।
জীবন যু”দ্ধে ল”ড়াই করে সফলতা অর্জন করার পর তিনি এক সকলের কাছে প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।রেলওয়ে স্টেশনে কুলির কাজ করতেন শ্রীনাথ। যাত্রীদের জিনিস পরিবহন করার কাজ করতেন তিনি। সেই থেকে নিজের চেষ্টায় আজ তিনি আই এ এস অফিসার। দেশের সবথেকে কঠিন পরীক্ষা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইউ পি এস সি।
প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক ছাত্র ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং পরীক্ষা দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যে গুটি কয়েক ছত্র শেষ পর্যন্ত আইএএস আইপিএস অফিসার হওয়ার ক্ষমতা রাখে। ভারতবর্ষের এমনই এক কঠিন পরীক্ষাতে সফলতা অর্জন করে আজ আইপিএস অফিসার হয়েছেন শ্রীনাথ।
তবে তার এই সফলতা অর্জনের পথ কোনভাবেই মসৃণ ছিল না। প্রতিটি পদে পদে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। সেই কারণে তিনি কেরালার এর্নাকুলাম স্টেশনে কুলির কাজ শুরু করেন। কুলির কাজ করতে করতেই স্বপ্নের সফরে পদার্পণ করেন তিনি।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেবার জন্য মনস্থির করে ফেলেন শ্রীনাথ। কিন্তু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে কোচিং নিতে হয় সেই কোচিং এর মাইনে যোগানোর অর্থ তার কাছে ছিল না। আর ঠিক এই কারণেই এই অসময়ে তাকে সাহায্য করেছিল রেলস্টেশনের ফ্রি ওয়াইফাই।
স্টেশনের ফ্রি ওয়াইফাই থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন বই ডাউনলোড করে সেখান থেকে পড়াশোনা করে আজ তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। যখনই অবসর সময় পেতেন সেই সময় ফ্রি ওয়াইফাই থেকে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে শিক্ষকদের পড়ানো বিষয়গুলি ডাউনলোড করে নিতেন শ্রীনাথ। তারপর এয়ার ফোনের মাধ্যমে শুনে শুনে পুরো বিষয়টি মুখস্থ করে নিতেন তিনি।
ঠিক এভাবেই কঠোর পরিশ্রমের পর তিনি প্রথমে কেরালা পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাশ করে যান। কিন্তু তার লক্ষ্য ছিল আরো উঁচু। আই পি এস অফিসার হওয়ার জন্য তিনি পড়াশোনা করতে শুরু করেন, এবং চতুর্থ বারের প্রচেষ্টায় ইউ পি এস সি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করে আইপিএস অফিসার হন।