দেবী পার্বতীর কৃপায় জীবনে কোন কষ্ট থাকবে না। জীবন ভরে উঠবে আয়ু, সৌভাগ্য এবং দাম্পত্য সুখের। অবশ্যই আপনাকে তাহলে পালন করতে হবে তীজ ব্রত। তীজ কথাটির উদ্ভব সংস্কৃত তৃতীয়া শব্দটি থেকে। তৃতীয়া তিথির উৎসব হলে এই ব্রতের নাম তীজ।
তীজ ব্রতের সময়কাল
প্রতিবছর বর্ষা ঋতুতে আপনি দুবার করে তীজ ব্রত পালন করতে পারবেন। প্রথম তীজ ব্রত শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে পালন করা হয়, যা হরিয়ালি তীজ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় তীজ ব্রত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালন করা হয়। এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রত কথায় কাজলের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বলে এর অপর নাম কাজরি বা কাজলি তীজ।
কাজরি তীজ পালনের সময়কাল
•তৃতীয়া তিথি সূচনা
২৪শে আগস্ট , মঙ্গলবার বিকাল ৪টে ০৪ মিনিট
• তৃতীয়া তিথি সমাপ্ত
২৫ শে আগস্ট , বুধবার বিকাল ৪টে ১৮ মিনিট
কেন এই ব্রত পালন করবেন ?
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী তীজ ব্রতের উপাস্য ছিলেন দেবী পার্বতী। ভগবান শিবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী শুরু করেছিলেন কঠোর তপস্যা। তপস্যা সার্থক হয়েছিল হরিয়ালি তীজের দিন। এই বিশ্বাস অনুযায়ী বছরের পর বছর গৃহস্ত রমণীরা সৌভাগ্য আয়ু এবং দাম্পত্য সুখ লাভের জন্য পালন করে আসছেন এই বিশেষ ব্রত।
কিভাবে উদযাপন করবেন ?
• তীজের দিন গাছের ডালে দোলনা বেঁধে দিয়ে আনন্দ উদযাপন করবেন।
• ব্রাহ্ম-মুহূর্তে স্নান সেরে হাতে পায়ে মেহেন্দি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
• ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে প্রচলিত রয়েছে কাজরি নামক বিশেষ গান। এই গান ছাড়া ব্রতকথা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
• সারাদিন নির্জলা উপবাস থেকে সন্ধ্যে বেলা চাঁদের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করে উপবাস ভঙ্গ করতে হবে। খুব অসুবিধা থাকলে ফলাহার করা যেতে পারে। উপবাস ভঙ্গ করতে হবে ছাতু দিয়ে।
• দলবেঁধে নিম গাছের চারপাশে পুজো দিয়ে এই ব্রত উদযাপন করতে হবে।
• সধবাদের সাজের সামগ্রিক উপহার হিসেবে দান করলে এই তিথিতে পূণ্য অর্জন করা যায়।