Tuesday , March 21 2023

সাবধান! স্মার্টফোন যেন না হয় আপনার ‘রোগের’ কারণ, জেনেনিন বিস্তারিত

স্মার্টফোনের সঠিক ব্যবহার নির্ভর করে ব্যবহারকারীর সচেতনতার ওপর। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গতির সঙ্গে তাল মেলাতে স্মার্টফোন জরুরি। তাই এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। স্মার্টফোনের তরঙ্গ অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা শেষ পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।শারীরিকভাবে সুস্থ ও নিরাপদ থেকে স্মার্টফোনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন-

ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন নয়ঃ স্মার্টফোন হলো ত্বরিৎ চুম্বকীয় বা ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক যন্ত্র, যা বার্তা পাঠায় ও গ্রহণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ঘুমানোর সময় অনেকেই স্মার্টফোন বালিশের পাশে রাখেন। ফলে এই তরঙ্গ সহজেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।এছাড়া স্মার্টফোনের তরঙ্গ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলেও গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে। তাই ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন বিছানা থেকে দূরে রাখাই ভালো। ফোন একান্তই কাছে রাখতে চাইলে এরোপ্লেন মোডে রাখতে হবে।

নীল আলো ক্ষতিকরঃ স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই আলো শরীরের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। স্মার্টফোনের নীল আলো মাথাব্যথা ও চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে। স্মার্টফোনের আলো কমিয়ে রাখা উচিত। ঘুমানোর অন্তত ৩ ঘন্টা আগে কথা বলা ছাড়া অন্যকাজে স্মার্টফোন ব্যবহার না করাই ভালো।

নেটওয়ার্ক পাচ্ছে কি নাঃ স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক কেমন পাচ্ছে সেটিও দেখার ব্যাপার। বিজ্ঞানী ড. ডেভরা ডেভিসের মতে, নেটওয়ার্ক কম থাকলে বিকিরণ বেশি হয়। এতে স্বাস্থ্যগত নানা ঝুঁকি বেড়ে যায়। নেটওয়ার্ক ভালো থাকলে স্মার্টফোনের বিকিরণ কম হয়।স্মার্টফোন অনেকসময় গরম হয়ে যায়। ফোন গরম হলে কিছুক্ষণের জন্য ফোনে হাত না দেওয়াই ভালো। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ত্বকের সংস্পর্শে না রাখাই ভালোঃ গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে। স্মার্টফোনের প্রেরণ সংকেত সাধারণত ৯০০ এমএইচজেড। এই সংকেত ফোন গরম করে ফেলে। গরম ফোনের তাপমাত্রা শরীর সহ্য করতে পারলেও রেডিও তরঙ্গের বিকিরণ শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই তরঙ্গ ক্যানসারের কারণ।হেডফোন লাগিয়ে কথা বলা ভালো। গবেষকদের মতে, স্মার্টফোন পকেটে না রেখে ব্যাগে রাখা উচিত। এতে ত্বকের সঙ্গে স্মার্টফোনের সরাসরি সংস্পর্শ থাকবে না। ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।

সামনে ঝুঁকে ফোন ব্যবহার নয়ঃ অনেকে ফোন চালানোর সময় সামনের দিকে ঘাড় ঝুঁকে রাখেন। এভাবে দীর্ঘক্ষণ থাকলে মেরুদন্ডের ওপর ভীষণ চাপ পড়ে। এতে ঘাড়ে ব্যথা এবং শারীরিক গঠনে পরিবর্তন হতে পারে। তাই ফোন চোখের সামনে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ঘাড় সোজা থাকে।

প্রযুক্তি নির্ভরতার এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া চলা বেশ কঠিন। তাই স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্যগত নানা ঝুঁকি কমে যাবে।

Check Also

কিনতে যেতে হবে না, বাড়ির সাধারণ পাত্রে লাগান শসা, খেয়াল রাখুন এই ৭টি বিষয়

যে ফসল গুলি বা ফলগুলি বারো মাস পাওয়া যায় তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো শসা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.