কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এসেছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। সৈকতে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা দেখতে ভিড় বেড়েছে উৎসুক জনতার। অনেকেই মাছগুলো জড়ো করে স্তুপ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছ থেকে এখনো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।স্বাভাবিক অবস্থায় সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার দৃশ্যই শুধু দেখা যায়।
তার সাথে ভেসে আসা মরা শামুক ও ঝিনুক-কুড়ি ইত্যাদিরও দেখো মেলে কখনো কখনো। এগুলো দেখতে দেখতেই সৈকতে সময় পার হয় পর্যটকদের।কিন্তু এই চিরচেনা সৈকত মাঝে মাঝে বদলে যায়। ঘটে যায় অস্বাভাবিক কিছু। তাতে কখনো বাড়তি আনন্দ মেলে। কখনো বা কৌতুহল ও রহস্যের জন্ম দেয়। এই বার যেমন কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ।
সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মাছ আর মাছ। ঢেউয়ের তোড়ে বালিয়াড়িতে উঠে আসছে এসব মাছ। তবে সবই মৃত ও ছোট প্রজাতির। বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের সময় এসব মরা মাছ ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। মাছগুলো দেখতে ও কুড়াতে উৎসুক জনতার ভিড় বেড়েছে কয়েক গুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্ট সৈকতের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে আসা ছোট আকৃতির এসব মাছ স্থানীয়দের কাছে ‘চামিলা’ ও পোয়া হিসেবে পরিচিত। তবে এই মাছের সঠিক নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মাছ ভেসে আসার খবর পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ বা বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মাছ আর মাছ। তবে ঢেউয়ের তোড়ে বালিয়াড়িতে উঠে আসা এসব মাছ সবই মৃত ও ছোট প্রজাতির। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জোয়ারের সময় এ সব মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়।
এই মৃত মাছ দেখতে ও কুড়াতে উৎসুক জনতার ভিড় নামে সৈকতে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা।স্থানীয়রা জানান, কলাতলী সৈকতের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভেসে আসা ছোট আকৃতির এসব মাছ স্থানীয়দের কাছে ‘চামিলা’ হিসেবে পরিচিত। তবে এই মাছের সঠিক নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।সিনিয়র সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন শাকিল বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আজ অস্বাভাবিকভাবে মাছ ভেসে এসেছে।সবাই ইচ্ছামতো ভরে নিয়ে যাচ্ছে এসব মাছ।
কিছুদিন আগে ভেসে আসা জেলীফিশ এখনও পড়ে আছে সৈকত জুড়ে। এসব অস্বাভাবিক ঘটনা প্রকৃতির কোনো ছন্দপতন কিনা বা সাগরে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটল কিনা এই নিয়ে চিন্তায় আছি। এখনই এসব নিয়ে গবেষকদের দারস্থ হওয়া উচিত আমাদের।কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক সেবায় নিয়োজিত বীচকর্মী মাহাবুবুর রহমান জানান, ঢেউয়ের সঙ্গে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ ছোট মরা মাছ ভেসে আসছে।
ভেসে আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম হয়। বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের ওসি দেলোয়ার বলেন, মাছ কুড়াতে মানুষের ভিড় জমেছে। বালিয়াড়িতে গিয়ে দেখি নানান প্রজাতির মাছ ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসছে। তবে এই মাছগুলো কোথায় থেকে এসেছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।এর আগে সমুদ্র সৈকতে থেকে ভেসে এসেছিল কয়েকটি মৃত তিমি এবং কয়েক হাজার টন বর্জ্য।