একটি সময় ছিল যখন বাবা-মায়েরা কঠিন শা’সন করত বাচ্চাদের। একটু এদিক ওদিক হলেই কাঠের স্কেলের বাড়ি, দু আঙুলের ফাঁকে পেনসিল ঢুকিয়ে চাপ দেওয়া, চু’লের মু’ঠি ধ’রে পি’ঠে কি’ল, চ’ড়, ঘুঁ’ষি, স’ঙ্গে অ’হরহ গা’লিগা’লাজ। অভিভাবকরা মনে করতেন, এসব না হলে বাচ্চা মানুষ হবে না।
এখন সময় বদলে গেছে। ডিজিটাল যুগ। হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। ছোটরাও এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্মার্ট। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই সে গোটা বিশ্বকে জানছে, বুঝছে। ফলে বয়সের তুলনায় তারা অনেক বেশি পরিণত। তাই বেদম ঠ্যাঙালেই বাচ্চা মানুষ হবে, এই ধারনাও এখন বদলে গিয়েছে। বরং এতে শিশুমনে নেতিব্যাক প্রভাব পড়ার স্মভাবনাই বেশি।
তবে এখনও ছোটদের মার খাওয়া কমেনি। বাড়িতে হামেশাই শাসনের নামে তাদের গায়ে হাত দেয়া হয়। আর একটু একটু করে বদলে যেতে থাকে শিশুর মন। তবে তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কী করা যায়?
শা’স্তি না দিয়ে সংশোধন
শা’স্তির ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে অভিভাবকদের। বাচ্চাদের মে’রেধ’রে বোঝানো হয় যে এটা করা ভু’ল। তার বদলে কোনটা ঠিক, কোন পরিস্থিতিতে বাচ্চা কী করবে তাকে সেটা শেখাতে হবে। শা’স্তি না দিয়ে সেটা সং’শোধন করে দিতে হবে।
দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে
ধরা যাক, সন্তানকে কোনো কাজ করতে বললেও তাতে আমল দিচ্ছে না। এতে অভিভাবক বিরক্তি-রা’গ প্রকাশ করে ফেলেন। বার বার কেন? চোখের দিকে তাকিয়ে একবার বললেই হবে। এই প্রক্রিয়াটা ছোট বয়স থেকে অভ্যেস করালে সমস্যা হবে না।
পছন্দের জিনিস কেড়ে নেওয়া
এটা খুব ভুল পদক্ষেপ। তবে বেশিরভাগ অভিভাবকই এটা করে থাকেন। সন্তানের কোনো ভুলের শাস্তি দিতে তার পছন্দের জিনিস বা খেলনা কেড়ে নেন। ধরা যাক, সন্তান বইপত্র ছেড়ে সারাক্ষণ মোবাইল মুখে বসে আছে। শা’স্তি দিতে মোবাইলটা কেড়ে রেখে দেন। এমনটা বারবার হলে, সন্তান শিখবে না কিছুই, বরং অন্য উপায়ে দুষ্টু’মি করবে।
সবার সামনে বকাঝকা
হয় তো ধৈ’র্যের বাঁ’ধ ভে’ঙে গেছে, কিন্তু তারপরেও সবার সামনে বাচ্চাকে বকাঝকা করা ঠিক নয়। এটা ওদের ইগোয় লাগে।
মারধর
একবার-দুবার বাচ্চাকে মা’রধ’র মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু বারবার নয়। বরং কোনো ভুল সে বারবার করছে, সেটা ধরিয়ে দিতে হবে। মা’রধ’র থেকে ছোটদের মধ্যে উগ্রভাব, হিংসা তৈরি হয়। কঠোর গলায় চোখের দৃষ্টিতে বুঝিয়ে দিতে হবে আ’পত্তির কারণ।
গা’লিগা’লাজ নয়
অনেক সময়ই রেগে গিয়ে অভিভাবকদের মুখ দিয়ে এমন সব শব্দ বের করেন। এতে কোনো লাভ তো হয়ই না, উল্টো ক্ষতি হয়। শিশুরা নতুন জিনিস খুব তাড়াতাড়ি শেখে। সে যখন এই সব শব্দ জনসমুক্ষে বলবে তখন লজ্জার মুখে পড়তে হবে অভিভাবককেই।
কঠোর নিয়ম আরোপ
শিশুরা সাদা পাতার মতো। অভিভাবকরা সেখানে যা লিখবেন, সে তাই শিখবে। শৃঙ্খলা শেখাতে গিয়ে কঠোর নিয়ম আরোপ করা ঠিক আছে, কিন্তু শাস্তি দিতে গিয়ে কঠোর নিয়ম চাপালে তা অনেক সময় ভালো নাও হতে পারে।