শ্রীকৃষ্ণকে বা গোপালকে সন্তুষ্ট করতে চান ? হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ভোজনবিলাসী। প্রতিদিন যশোদা মাকে আট রকমের পদ করে খাওয়াতে হতো শ্রীকৃষ্ণকে। জন্মাষ্টমীতে নিবেদিত ছাপান্ন ভোগের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় খাবারের তালিকাটি জেনে নিন।
১. নাড়ু:
ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবেসে অনেকে ডাকেন নাড়ুগোপাল বলে। তাই তাঁর প্রিয় খাদ্যতালিকায় অবশ্যই প্রসাদ হিসেবে স্থান করে নেবে নাড়ু। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে নাড়ু বানানো গেলেও, নারকেলের নাড়ু সবথেকে বেশি উপাদেয়।
২. তালের বড়া:
শ্রীকৃষ্ণ যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন ছিল তাল পাকার সময়। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের দিকে ভাদ্র মাস এলেই গৃহস্থের ঘরে তালের বড়া বানানোর রেওয়াজ রয়েছে। অনেকে তালের বড়া বানিয়ে সবার প্রথমে নিবেদন করেন শ্রীকৃষ্ণকে তারপর পরিবারের সবাই খান। তালের বড়া গোপালের অত্যন্ত প্রিয়।
৩. মালাই ও রাবড়ি:
শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছেন মালাই এবং রাবড়ি। অনেকে মনে করেন ,মূলত খাঁটি দুধ দিয়ে এগুলি তৈরি হওয়ার কারণে এগুলি তিনি খেতে ভালোবাসেন।
৪. মোহনভোগ:
সুজির হালুয়া ঘিয়ে ভেজে তৈরি করা হয় মোহনভোগ। শ্রীকৃষ্ণের এই পছন্দের খাবারটির সাথে আপনি ইচ্ছা করলে রাখতে পারেন ঘিয়ে ভাজা লুচি।
৫. মালপোয়া:
জন্মাষ্টমীর প্রসাদ গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো মালপোয়া। নাড়ুগোপাল মালপোয়া খুবই পছন্দ করেন।
৬.ক্ষীর:
ননীর মতো ক্ষীর শ্রীকৃষ্ণের খুবই পছন্দের। ক্ষীরের পায়েস তাই আপনি চাইলেই রাখতে পারেন ভোগের ডালায়।
৭. শ্রীখন্ড:
পশ্চিমবঙ্গে এই খাবারটির বিশেষ চল না থাকলেও ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে জন্মাষ্টমীর দিন ভোগে শ্রীখন্ড অনিবার্য। শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় এই সুস্বাদু খাবারটি তৈরি করা হয় দই দিয়ে।
৮. গোপালকলা:
গোপালকলা হল শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের বিশেষ এক ধরনের ভোগ। এটি তৈরি করা হয় মিষ্টি এবং ফলের সাথে কোরা নারকেল মিশিয়ে।
৯. মাখন মিছরি:
গরুর খাঁটি দুধের সঙ্গে মিছরি ও মাখন মিশিয়ে তৈরি করা হয় শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় খাবার মাখন মিছরি। জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের মুখে মাখন তুলে দেওয়া চাই। ছোট্ট গোপাল গোকুলে গোপী গৃহে চুরি করতেন ননী। যদি বাড়িতে মাখন তৈরি করতে না পারেন তাহলে ছানা ও চিনি একসাথে মিশিয়ে ভোগ তৈরি করতে পারেন।
তবে যদি আপনি ভক্তি ও শ্রদ্ধা ভরে অতি সামান্য কোন খাবার দেন তাহলে ভগবান তাই গ্রহণ করেন। তাই শ্রীকৃষ্ণের ভোগের আয়োজন করুন নিজের সামর্থ্য অনুসারে কিন্তু তাতে যেন নিষ্ঠার কোন খামতি না পরে।