Thursday , March 30 2023

রোজ উচ্চারণ করুন ‘ওম’, জেনে নিন কেটে যাবে কোন কোন বাধা…

সৃষ্টির আদি শব্দ হিসাবে বিবেচনা করা হয় ‘ওম’ শব্দটিকে। শরীর-মনের বহু ভয়, বাধা, চিন্তাকে সরিয়ে ফেলার শক্তি রয়েছে এই ওম ধ্বনিতে।অনন্ত শক্তির প্রতীক এই শব্দটি। ওম শব্দ ঘিরেই গোটা ব্রহ্মাণ্ড। ব্রাহ্মণ গ্রন্থ বলে, যদি কুশের আসনে বসে পূর্বদিকে মুখ করে এক হাজারবার ওম শব্দটি জপ করা যায়, তবে সবরকম বাধা কেটে যায়। জেনে নিন কত শক্তি লুকিয়ে এই শব্দে। নাভি থেকে কন্ঠ হয়ে উচ্চারিত হোক ওম। সুস্থ থাকবে আপনার শরীরও…

১. ওম উচ্চারণে গলায় কম্পন অনুভূত হয়। যা থাইরয়েড গ্রন্থির উপর সুপ্রভাব ফেলে।
২. আচমকা উদ্বিঘ্ন লাগলে বা মনে অস্থিরতা কাজ করলে চোখ বুজে ওম উচ্চারণ করুন। দেখবেন অস্থিরতা কেটে গেছে।
৩. দুশ্চিন্তা দূর করতে এ শব্দের জুড়ি নেই।
৪. হৃদযন্ত্রে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৫. হজমশক্তি বাড়াতেও কার্যকরী ওম উচ্চারণ।
৬. ক্লান্তির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এর থেকে ভাল আর কোনও পথ নেই। শাস্ত্র বলে, ওম শব্দ উচ্চারণ আপনার শরীর-মনে এক অদ্ভূত প্রাণশক্তির সঞ্চার করে।
৭. অনেকেই অনিদ্রায় ভোগেন। ঘুমানোর আগে ঘরের আলো নিভিয়ে কয়েক সেকেন্ড উচ্চারণ করুন ওম। দেখুন তো ঘুম আসে কি না!
৮. যেহেতু একদম নাভি থেকে ওম শব্দটি উচ্চারণ হয়, সেহেতু তা উচ্চারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কম্পন হয়। এই কম্পন স্পাইনাল কর্ডের ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। প্রাণায়াম বা যোগাসনের সঙ্গে এই শব্দ উচ্চারণ করুন, ফুসফুসও সুস্থ থাকবে।

Check Also

ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে মল মাস, এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

Malmaas 2022: হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি শুভ কাজ করার জন্য কিছু শুভক্ষণ বা মুহূর্ত থাকে। এমনও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.