ভারতবর্ষের অন্যতম একটি মহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল গণেশ চতুর্থী। ২০২১ এ ১০ই সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্র ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত মহা ধুমধাম করে গণপতি বাপ্পার আরাধনা করা হয়। গণপতির আশীর্বাদ পেতে ঘরে ঘরে পূজো করা হয় পার্বতী পুত্রের। গণপতি হাতির মাথা নিয়ে রয়েছে নানান বিচিত্র পৌরাণিক কাহিনি।
গণেশ চতুর্থীর দিন মহারাষ্ট্রের প্রত্যেক ঘর সেজে ওঠে ফুলের মালা আর রঙিন আলপনায়। সুবাসিত ধূপের গন্ধে মনে হয় স্বয়ং ভগবান ঘরে অধিষ্ঠান করছেন। শাস্ত্র অনুযায়ী ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থ তিথিতে ভগবান গণেশের জন্ম হয়েছিল। গণেশ চতুর্থী পালন করতে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলুন।
• ভগবান গণেশের প্রিয় রং হলো লাল ও হলুদ। তাই ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে লাল ও হলুদ রংয়ের ফুলের ব্যবহার বেশি করুন। বাড়িতে ঢোকার মূল দরজায় ঝুলিয়ে দিন গাঁদা ফুলের মালা।
• সামর্থ্য অনুযায়ী বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন এই দুই রঙের ওড়না। ভগবান গণেশের অধিষ্ঠানের জায়গায় জানালা বা উপরে চাঁদোয়ার মতো করে এই কাপড় দিয়ে সাজাতে পারেন।
• ঘরের দুয়ারে সুন্দর করে সাজান দ্বারঘট। দ্বারঘটের পাশে হলুদ গাঁদা ফুলের মালা দিতে ভুলবেন না।
• ভগবান গণেশের সামনে আপনি চাইলে একটি সুন্দর পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে গোলাপের পাপড়ি ভাসিয়ে দিতে পারেন। সবথেকে বেশি সুন্দর হবে যদি এই পাত্রটিকে সুন্দর আলপনার মাঝে রাখতে পারেন।
• ভগবানের সামনে সাজিয়ে দিন একুশটি দূর্বাঘাস ,একুশটি মোদক এবং লাল ফুল।
• গজাননের কপালে সুন্দর করে অঙ্কন করুন লাল চন্দনের টিকা।
• গণপতির সামনে এই দিন নারকেল ভাঙলে সংসারের সমস্ত অশুভশক্তির দূর হয় এবং শুভশক্তির আগমন ঘটে।
• গনপতির আরাধনের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভক্তি এবং নিষ্ঠা সহকারে পুজো। তাই এক্ষেত্রে পুজোর আরম্ভরের কোন প্রয়োজন নেই। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পুজোর আয়োজন করুন।