Thursday , June 8 2023

মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করতে প্রতি সোমবার যা অবশ্যই করা উচিত…

দেবাদিদেব মহাদেবের সবচেয়ে প্রিয় দিন হল সোমবার। সোমবার তাই এমন কয়েরটি কাজ করা উচিত যাতে মহাদেব প্রসন্ন হন। তবে মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। বিশেষ করে বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী সোমবারের দিন শিবের অত্যন্ত প্রিয়। আবার অন্য দিকে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সোমবার চন্দ্রের দিন। এ দিন চন্দ্রজনিত দোষে শান্তি স্বস্ত্যয়ন করা হয়। সোমবার মহাদেবের সঙ্গে জড়িত কিছু বিশেষ ক্রিয়া পালন করলে শুভ পরিণাম পাওয়া যায়। এমন পাঁচটি উপায় রয়েছে, যা প্রতি সোমবার পালন করলে শিবের আশির্বাদ লাভ করা যায়।

শিব বিরাজ করছেন শিবলিঙ্গতে। শিব পুরাণ বলছে, শিবলিঙ্গ অত্যন্ত জাগ্রত, অল্প পুজো করলেই শুভ ফল মেলে। যদি বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখেন, তবে এই বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দিন। যদি শিবলিঙ্গের পুজো না করতে পারেন, তবে তা বাড়িতে রাখবেন না। ঘরে শিবলিঙ্গের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা উচিত না। বিধিমত পুজো করুন, নিত্য অভিষেক করুন। নর্মদা নদীর পাথর দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ রাখা উচিত। এটি অত্যন্ত শুভ। শিবলিঙ্গ হবে ছোট, আমাদের বুড়ো আঙুলের ওপরের গাঁটের বেশি দৈর্ঘ্য থাকা উচিত নয়। বেশি বড় শিবলিঙ্গ মন্দিরের পক্ষে উপযোগী। শিবলিঙ্গ রোজ সকাল-সন্ধে পুজো করা উচিত। যদি নিয়মিত পুজো করতে না পারেন, তবে বাড়িতে তা রাখবেন না। শিবপুরাণ বলছে, বাড়িতে একের বেশি শিবলিঙ্গ রাখবেন না। ঘরের কোনও আবদ্ধ জায়গায় শিবলিঙ্গ রাখা উচিত নয়। সব সময় খোলা জায়গায় রাখা উচিত।

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, শিবলিঙ্গ শক্তির আধার। তাই তার ওপর সব সময় যেন জলধারা এসে পড়ে, যা শক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখে। কেউ কেউ শিবলিঙ্গে সপ্তাহে একবার বা প্রতিদিন জল অর্চনা করেন, তা ঠিক নয়। এতে সংসারে অশান্তি হয়। যদি বাড়িতে ধাতব শিবলিঙ্গ রাখতে চান, তবে তা সোনা, রুপো বা তামানির্মিত হওয়া উচিত। সেই ধাতুর তৈরি একটি নাগও শিবলিঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হবে। ভগবান শঙ্কর কেতকী ফুল, তুলসী, সিঁদুর ও হলুদ পছন্দ করেন না। তাই এই সব জিনিস শিবলিঙ্গে চড়ানো উচিত নয়। ঘরে শুধু শিবলিঙ্গ রাখবেন না। সঙ্গে ভগবান শঙ্করের পুরো পরিবারের ছবি রাখবেন।

হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বইয়ে এমন বহু স্তোত্রের সন্ধান পাওয়া যায়, যা দেব-দেবীর পুজে করার সময় পাঠ করা হয়ে থাকে। অনেকে এই সব স্তোত্র, মন্ত্র হিসেবে জপ করেন, তো কেউ কেউ ভজনের মতো করে গেয়ে থাকেন। একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে প্রতি সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করার পর যদি এই ‘পঞ্চ অক্ষর’শ্লোকটি পাঠ করা যায়, তাহলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।

পঞ্চঅক্ষর স্তোত্রের অন্দরে পাঁচটি শব্দ লুকিয়ে রয়েছে, তাই তো এই শ্লোকটিকে পঞ্চকশরা অর্থাৎ পাঁচ অক্ষর সমৃদ্ধ স্তোত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। ‘পঞ্চ অক্ষর’ স্তোত্রে মোট পাঁচটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপ হল-‘নাগেদ্র হারায়া ত্রিলোচনায়া, ভাশমাঙ্গে রাগায়া মহেশ্বরায়া, নিত্যায়া শুদ্ধায়া দিগমবারায়, তাসমৈ না কারায়া নমহ শিবায়’। দ্বিতীয় পাঠটি হল- ‘মন্দাকিনি শলিল চন্দ্রায়া চার্চিতায়া, নন্দিশ্বারয়া প্রমথা নাথ মহেশ্বরায়া, মন্দ্র পুষ্প বাহু পুষ্প সুপজিতায়া, তাসমৈ মা কারায়া নমহ শিবায়’। তৃতীয় ধাপটি হল-শিবায় গৌরি বাদানা যা বৃন্দ, সূর্য দকশ ধোওয়ারা নশকায়া, শ্রী নীল কন্ঠ বিষ ধরায়, তসমৈ শ্রী কারায়া নমহ শিবায়। চতুর্থ ধাপটি হল-‘বশিষ্ঠ কুম্ভদ ভাবা গৌতম আচার্য মুনিন্দর দেভা আর্চিতা শিখারায়া। চন্দ্র আর্ক বৈষবানারায় লোচনায়, তসমৈ ভা কারায় নমহ শিবায়’। পঞ্চম পাঠটি হল-‘ইজানায়া স্বরুপায়া জাটা ধারায় পিনাকা হাস্তায় সনাতনায়, দিব্যা দিবায় দিগম্বরায়া তসমৈ কারায়া নমহ শিবায়’।

Check Also

ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে মল মাস, এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

Malmaas 2022: হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি শুভ কাজ করার জন্য কিছু শুভক্ষণ বা মুহূর্ত থাকে। এমনও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.