ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে বহু মানুষের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত করা হয় গণপতি বাপ্পার মূর্তি। গণেশ উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দের জোয়ার থাকে টানা ১০ দিন। ঘরে গণপতির আগমন মানে সব অশান্তি এবং ঝামেলা দূর। পাশাপাশি এই সংসারের সদস্যদের মানসিক চাপ কিংবা উদ্রেক কমে যায় বলে মনে করা হয়। ২০২২ এ গণেশ চতুর্থী শুরু হবে ৩১শে আগস্ট। গনেশ বিসর্জন অর্থাৎ অনন্ত চতুর্দশী পড়েছে ২০২২ এর ৯ই সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের গণেশ চতুর্থীতে তৈরি হবে রবিযোগ। তাই এই চতুর্থীর গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গণেশ চতুর্থী পালনে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।
•এই দিন ভগবান গণেশের আরাধনার জন্য প্রয়োজন গণেশের মূর্তি, পৈতে, দূর্বা, কলস, লাল কাপড়, রোলি, নারকেল, পঞ্চামৃত, মলি লাল, পঞ্চমেভা, গঙ্গাজল প্রভৃতি।
•গণেশ চতুর্থী শুভ তিথি শুরু হবে ৩০শে আগস্ট বিকেল ৩টে ৩৩ মিনিট থেকে। ব্রত পালন করা হবে ৩১ শে আগস্ট। এই দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাবেন। তারপর পুজো এবং ব্রতর সংকল্প নেবেন।
• শুভ সময় মেনে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করবেন ভগবান গণেশের মূর্তি। খেয়াল রাখবেন মূর্তি প্রতিষ্ঠার সময় যেন আপনার মনের ইচ্ছার কোনো খামতি না থাকে। তারপর মূর্তি গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করবেন।
• দূর্বা ঘাস ভগবান গণেশের খুব প্রিয় একটি দ্রব্য। তাই তাঁকে অবশ্যই ফুল এবং দূর্বা ঘাস অর্পণ করবেন। মনে রাখবেন গনেশের প্রিয় মোদক কিংবা লাড্ডু। গণপতির আরাধনার সময় সিঁদুরের তিলক লাগাবেন পুজো শেষে আরতি করে ভগবানের কাছে প্রণাম করবেন।
•পুজো শেষে অবশ্যই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে অসহায় মানুষদের এই দিন ভোগ বিতরণ করতে পারেন।
•মনে করা হয়, ভগবান গণেশের উদ্দেশ্যে দূর্বার নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হয় এবং ভক্তকে কৃপা করেন যার কারণে সাংসারিক জীবনে সমস্ত অশান্তি দূর হয়।
•সেদিন আমিষ খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলবেন এবং কাউকে কটু কথা বলবেন না। কোন ব্যক্তির সাথে এমন ব্যবহার করবেন না যাতে তিনি কষ্ট পান।