হিন্দুশাস্ত্র মতে আদি শক্তি মহামায়ার অনেক রূপ আছে। তবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো মা তারা।আমরা মা তারাকে বিভিন্ন রূপে আরাধনা করে থাকি, যথা শ্মশানকালী এবং ভবতারিণী। মা তারাকে মা কালীর অপর রূপ বলে মানা হয়। হিন্দু ধর্মে তাঁকে দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা বলে গণ্য করা হয়।
মা কালী হলেন আদি শক্তির উত্স। ভক্তদের কঠিন সময়ে দয়াময়ী মা তাঁদের মাথার ওপর স্নেহের হাত রাখেন। ফলে সেই ভক্তরা একের পর এক বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে জীবনে উন্নতি করেন।বলা হয় শুদ্ধচিত্তে, ভক্তিভরে মায়ের কাছে কোন মনস্কামনা জানলে, মা সেটা অপূর্ন রাখেন না। হিন্দুদের কাছে তারাপীঠ একটি পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত। শুধুমাত্র মা তারার দর্শন করতে বা তাঁর পুজো দিতে নয়। এই মন্দিরে ভক্তরা আসেন পুণ্য সাধনের জন্য। কথিত আছে বহু তান্ত্রিক এবং ঋষি এই তারাপীঠে তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছেন।
তারাপীঠের এই পুণ্যভূমি সাধক বামাক্ষ্যাপার তীর্থস্থান বলে মানা হয়। কথিত আছে এখানে মা কালীকে স্বচক্ষে দেখেছিলেন বামাক্ষ্যাপা।মা তারা বড় জাগ্রত। তাই অনেকেই মানেন, তারাপীঠে মায়ের দর্শনে এসে, মায়ের কাছে হাতজোড় করে কিছু চাইলে মা সেই মনস্কামনা পূর্ণ না করে ভক্তদের ফিরিয়ে দেন না মা।
জানবেন, যদি প্রিয়জনেরাও আপনার থেকে আপনার চরম দুর্দিনে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবু তখনও আপনার সহায় থাকবেন মা তারা। তাই রূঢ় বাস্তবের সম্মুখীন হয়ে ভেঙে পড়বেনা না। মা তারার শরণাপন্ন হন। তিনি আপনার জীবন বৈতরণী ঠিক পাড় করে দেবেন।
জীবনে একের পর এক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে যখন আর পারে ওঠেন না, তখন শুধু মা তারার শরণাপন্ন হন। তাঁর আশীর্বাদে আপনি আবার জীবনযুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।ভক্তিভরে মা তারার কাছে কিছু চাইলে, মা সেই ভক্তকে ফিরিয়ে দেন না। স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ দেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ এই কথায বলে গেছেন।মঙ্গলবার দিনটি হলো মায়ের দিন। তাই আপনার মনের কোন ইচ্ছে যদি অপূর্ণ থেকে থাকে তবে আজ মায়ের কাছে সেই মনস্কামনা জানান, দেখবেন তাঁর আশীর্বাদে সেই আশা আর অপূর্ন থাকবেনা।
“কোন মন্ত্র পাঠে তুষ্ট হন দেবী?
মা তারার বিশেষ ধ্যান মন্ত্র আছে। যেটি পাঠ করে আপনি মা’ কে স্মরণ করলে তিনি নিশ্চয় আপনার ডাকে সারা দেবেন।
ॐ প্রত্যালীঢ়পদাং ঘোরাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্।
খর্ব্বাং লম্বোদরীং ভীমাং ব্যাঘ্রচর্ম্মাবৃতাং কটৌ।। নবযৌবনসম্পন্নাং পঞ্চমুদ্রাবিভূষিতাম্।
চতুর্ভূজাং লোলজিহ্বাং মহাভীমাং বরপ্রদাম্। খড়্গকর্ত্তৃসমাযুক্তসব্যেতরভূজদ্বয়াম্।
কপালোৎপল-সংযুক্তসব্যপাণিযুগান্বিতাম্।।
পিঙ্গাগ্রৌকজটাং ধ্যায়েন্মৌলিবক্ষভ্যভূষিতাম্।
বালার্কমণ্ডলাকা
রলোচনত্রয়ভূষিতাম্।।
জলচ্চিতামধ্যগতাং ঘোরদংষ্ট্রাং করালিনীম্।
স্বাবেশস্মেরবদনাং স্ত্র্যলঙ্কারবিভূষিতাম্।।
বিশ্বব্যাপক তোয়াস্ত শ্বেতপদ্মোপরিস্থিতাম্।
অক্ষ্যেভ্যো দেবীমূর্দ্ধন্যস্ত্রীমূর্ত্তিনাগরূ।।”