টেলি দুনিয়ায় সদ্য শুরু হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’। ‘মিঠাই’ এবং ‘জগদ্ধাত্রী’র পর এটাই জি বাংলার পরবর্তী তুরুপের তাস। তবে সাম্প্রতিক কিছু এপিসোড নিয়ে চরম হাসাহাসি শুরু হয়েছিল নেট পাড়ায়। যদিও নেটিজেনদের একাংশ মনে করছে ‘নিম ফুলের মধু’ নাকি আমাদের সমাজের নগ্ন চিত্রটাই তুলে ধরেছে।
এই সিরিয়ালে সৃজনের চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলি তারকা রুবেল দাস (Rubel Das)। এদিকে তার বিপরীতে পর্ণা চরিত্রে ফিরে এসেছেন পল্লবী শর্মা (Pallavi Sharma)। বেশ ফাটিয়ে অভিনয় করছেন দুজনেই। সৃজনকে বিয়ে করে নতুন বৌ পর্ণা দত্ত বাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই তার পায়ে শিকল দিতে প্রস্তুত শ্বশুর বাড়ির কিছু জন। তবে সেই ধ্যানধারণা ভাঙতে পর্ণাও প্রস্তত।
সাম্প্রতিক এপিসোডে আপনারা দেখছেন দত্তবাড়ির কাজের মেয়ে মঙ্গলার বাবার শরীর খারাপ। আর সেই কারণেই সে কিছু টাকা চেয়েছিল বাড়ির অভিভাবকদের কাছে। যদিও তারা মাস মাইনের সাথে অতিরিক্ত ৫০০ টাকার বেশি এক কানাকড়িও দেয়নি। তাই পর্না নিজের আংটি খুলে মঙ্গলার হাতে দেয়।
কিন্তু এতেই কি শান্তি আসে? এই নিয়ে যথারীতি সভা বসিয়ে ফেলে সৃজনের মা, বৌদি এবং জেঠু। তাদের তালে তাল মেলায় সৃজনও। তাদের দাবী, পর্না অন্যায় করেছে এবং ঐ আংটি পর্নাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়ির সকলের সামনে পর্নার যখন নাস্তানাবুদ অবস্থা তখন সৃজনও খুব বাজেভাবে খোঁটা দেয় তাকে।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে একটাই ভালো জিনিস যে, পর্নার সিদ্ধান্তে সাথ দেয় ঠাম্মি এবং সৃজনের বাবা। তারা বলে পর্না একজনের প্রাণ বাঁচাতে চেয়ে ভালো কাজ করেছে। কিন্তু এভাবে তো আর সব অপমান মেনে নেওয়া যায়না। তাই পর্না ঠিক করে নিজের সম্মান বাঁচাতে তাকে উপার্জন করতেই হবে। সেই মত চাকরির আবেদনও করে ফেলে সে।
যদিও সৃজন এটা শুনে চূড়ান্ত হেয় করে নিজের স্ত্রীকে। এখন দেখার বিষয় এই যে, দত্তবাড়ির লোকজন কি তাকে চাকরি করতে দেবে? তবে পর্নাও হাল ছাড়ার পাত্রী নয়। এই পর্যন্ত দেখার পর নেটিজেনদের দাবি, এটাই নাকি সমাজের বাস্তব চিত্র। পর্নার মত প্রতিটি মেয়েরই স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। অনেকের দাবী, অবহেলিত গৃহবধূদের সসম্মানে বাঁচার পথ দেখাচ্ছে ‘নিম ফুলের মধু’।