সাধারণত বাঘ হল স্তন্যপায়ী প্রাণী । প্রজাতির মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী প্রাণী। এশিয়ার প্রায় সমস্ত জায়গাতেই অর্থাৎ বেশ কয়েকটি জায়গা ছাড়া অধিকাংশ সমস্ত জায়গায় বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। এই বাঘ কে দেখার জন্য অনেকে অনেক কৌতুহলী হয়ে থাকে । ধৈর্যের সাথে বসে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা জ-ঙ্গলের আসে পাশে। কিন্তু আপনি যদি সত্যি ভালো খুব সহজে বাঘ দেখতে চান তাহলে উত্তরপ্রদেশে বান্ধবগড়ের একটি জ-ঙ্গলে যেতে পারেন।
সেখানে মিলবে লেপার্ডের দেখা । আমরা সেই ছোট্ট বেলা থেকে জেনে এসেছি ভারতের জাতীয় পশু বাঘ । নাম টা শুনলেই কেমন জানি একটা সর্বকালের সেরার সেরা মতো একটা অনুভুতি কমবেশি করে আসে আমাদের সবার মধ্যে । অনেকে তো আবার নিজের অস্বীত্ব কে গুরুগম্ভীর ভাবে প্রকাশ করার জন্য “বাঘের বাচ্চা” বা বাঘ এর সাথে তুলনা করে । আমাদের পশ্চিমবঙ্গে , ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন জাতের বাঘ দেখা যায় । এই যেমন ধরুন সুন্দরবন এর দিকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।
বা ধরুন জলপাইগুড়ি বা ঐদিকের অঞ্চলে চিতাবাঘ বা লে-পার্ড দেখা যায় বেশি । অনেক রহস্যময় গল্পে লেখকরা গল্পের টানটান উচ্ছেজনা বজায় রাখার জন্য ” চিতাবাঘ” এর নাম ব্যবহার করে থাকেন । কিন্তু এই গল্পের বা সিনেমার বাঘ যদি বাস্তবে দাঁড়ায় আপনার সামনে তাহলে? । পা এর তলা থেকে মাটি সরে যাবার উপক্রম হবে বুঝি? ঠিক সেরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি ।
যদিও ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোন একটি জায়গায় ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে । সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বহুতল ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে লে-পার্ড এবং সেই ফ্ল্যাটের মধ্যে থাকা বাসিন্দারা চরম বিপদের মধ্যে রয়েছেন । তারা তৎক্ষণাৎ বনদপ্তর কর্মীদের কে ফোন করে এবং বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে এসে উপস্থিত হয় বেশ কিছু বনদপ্তর এর কর্মীরা । সাথে করে নিয়ে আসে তারা তাদের সরঞ্জাম ।
সে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে গেটের বাইরে বড় একটা জাল নিয়ে দারিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন বনদপ্তর এর কর্মী এবং ভেতর থেকে যখন লেপার্ড টি ছুটে আসে তখন সে জাল এর মধ্যে আটকে যায় এবং তৎক্ষনাত তারা সেটি দিয়ে ঘিরে ফেলে সেই লেপার্ডটিকে । পরবর্তী ক্ষেত্রে একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে তাকে তৎক্ষণাৎ ঘুম পাড়ি দেওয়া হয় যাতে সে কাউকে আর আক্রমণ করতে না পারে । দিনেদুপুরে এভাবে বাঘের আ-ক্রমণে রীতিমতো এলাকাবাসী আ-তঙ্কে রয়েছে । যদিও সেই ঘটনাতে হ-তাহ-তের কোনো খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ।