রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে আমরা প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশ দের বিভিন্ন বড় বড় গাড়ি থেকে টাকা নিতে দেখি। বিশেষত রাতের বেলায় কিছু কিছু এলাকায় তো খুব পরিমানে বেড়ে যায় এই ঘটনা। বড় বড় লড়ি থেকে ১০ টাকা ২০টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নিতে দেখি আমরা।
সম্প্রতি এরকম ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে হিমাচল প্রদেশের উনা জেলা পুলিশ এক অভিনব নিয়ম চালু করলো। গত শনিবার একটি নির্দেশিকায় উনা জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোন পুলিশ কর্মীর কাছে যেন ২০০ টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ না থাকে। যদি থাকে, তা হলে তার যথাযথ বিবরণ জমা করতে হবে তার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের কাছে।
উনা জেলা পুলিশের সুত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে তীর্থযাত্রীদের কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে, আর তার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার দিবাকর শর্মা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্য পাঞ্জাব থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের কাছে থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়ছিল আমাদের কাছে, আর তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে দিনে দিনে এই অভিযোগ বেড়েই চলছিল। আর তার জেরেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল আমাদের। প্রসঙ্গত, রাজ্যের অংসখ্য মন্দিরে দর্শনার্থীদের যেতে হয় এই উনা দিয়ে। যেমন চিন্তপূরনি, জাওয়ালজি এবং কাংগরার একাধিক মন্দিরে যেতে হলে এই পথই ব্যবহার করতে হয় পঞ্জাবের দিক থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের। তাই তাদের কাছ থেকদ দি অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নিল পুলিশ।
গত শুক্রবারই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। শনিবার থেকে তা কার্যকরী হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কারও যদি নির্ধারিত পরিমাণের থেকে বেশি টাকা কাছে রাখার প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার শুরুতেই কর্মরত থানায় থাকা ডায়েরিতে তা উল্লেখ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তি তে।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন এই সেক্টর গুলিতে নিয়মিত চেক আপ আরও কড়া করা হচ্ছে। গত ২৮ মার্চ তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্য ৫ জন কে সাসপেন্ডও করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান এই নির্দেশের পাশাপাশি নিয়মিত নজরদারি তেও জোর দেওয়া হচ্ছে।