এক কথায় বিনোদন বলতে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে বুঝি। বর্তমান এই আধুনিক যুগের শিখরে দাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কাছে,বিনোদনের এক আলাদাই মানে হয়ে দাড়িয়েছে। শুধু বিনোদন না মানুষজন তার প্রতিভা এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরে,রাতারাতি স্টার হতে পারে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমরা রানু মন্ডল, বিপাশা দাস ও চাঁদমনি হেমব্রমের মতো সঙ্গীত শিল্পীদের,
আমাদের মাঝে পেয়েছি। এক কথায় বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য।অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই আঁকা প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক বা আগ্রহ! আঁকতে ভীষণ ভালো লাগত তাঁর! আর সেই আগ্রহ, ইচ্ছা থেকেই এক অসাধ্য সাধন করলেন কলকাতার টলিগঞ্জের তরুণ বিশ্বনাথ পোদ্দার! হস্তশিল্পে নজর কাড়লেন তিনি! সদ্য কলেজ পাশ করা এই যুবক দেশলাই কাঠির সাহায্যে ৭ সেন্টিমিটার একটি কালীমূর্তি গড়ে চমক দিলেন সবাইকে! বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, ছোট থেকেই আমার আঁকার প্রতি ভালোবাসা। আমি বিভিন্ন সময়ে দেশলাই কাঠি, পাতার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
আগে দেশলাই কাঠির সাহায্যে সাইকেল, হেলিকপ্টার, রিক্সা, প্রজাপতি বিভিন্ন জিনিস বানিয়েছি। আগে দুর্গা মূর্তি বানিয়েছিলাম এবার একইভাবে কালীমূর্তি বানিয়েছি! নিজের শিল্পসৃষ্টির জন্য কোনওদিন কারর কাছে প্রশিক্ষণ নেননি তিনি! কাজে লাগিয়েছিলেন লকডাউনের সময়টা! শিল্পীর কথায়, “লকডাউনের সময় বাড়িতে বসে এই জিনিসগুলো বানানোর ঝোঁক আরও বেড়ে গিয়েছিল”! নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই আজ সফল শিল্পী বিশ্বনাথ! নিজের শিল্প সৃষ্টি দিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলে ফেলেছেন বিশ্বনাথ পোদ্দার! উল্লেখ্য, এখানেই শেষ নয়, এর আগে নিজের শিলপগুণে মাত্র একটি দেশলাই কাঠির সাহায্যে সবথেকে ছোটো দুর্গামূর্তি বানিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলেছিল বিশ্বনাথ পোদ্দার। সেই দুর্গামূর্তিটির দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২ সেন্টিমিটার। তাঁর সেই সৃষ্টি দেখে চমকেছিল দেশ! ধৈর্য আর চেষ্টা থাকলে সবকিছুই যে সম্ভব।