হিন্দু ধর্মে হরিয়ালি তীজের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয়, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে দেবী পার্বতীর কৃপায় জীবনে কোন কষ্ট থাকবে না। জীবন ভরে উঠবে সুখ আর সমৃদ্ধিতে । এই বিশ্বাস নিয়েই পালন করা হয়, তীজ ব্রত। তীজ কথাটির উদ্ভব সংস্কৃত তৃতীয়া শব্দটি থেকে। তৃতীয়া তিথির উৎসব বলে এই ব্রতের নাম তীজ। ২০২২ এর ৩১শে জুলাই শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের এই রবিবার পালিত হবে হরিয়ালি তীজ।
তীজ ব্রতের সময়কাল:
প্রতিবছর বর্ষা ঋতুতে আপনি দুবার করে তীজ ব্রত পালন করতে পারবেন। প্রথম তীজ ব্রত শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে পালন করা হয়, যা হরিয়ালি তীজ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় তীজ ব্রত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালন করা হয়। ৩১ শে জুলাই ভোর ২:৫৯ মিনিটে শ্রাবণ শুক্লা তৃতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে। আর এই তিথি শেষ হবে ১ আগস্ট সকাল ৪:১৮ মিনিটে। আপনি এই সময়ের মধ্যে এই ব্রত পালন করতে পারেন।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী তীজ ব্রতের উপাস্য ছিলেন দেবী পার্বতী। ভগবান শিবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী শুরু করেছিলেন কঠোর তপস্যা। এক্ষেত্রে তাঁকে জন্মাতে হয়েছে প্রায় ১০৮ বার। তপস্যা সার্থক হয়েছিল হরিয়ালি তীজের দিন। বিশ্বাস অনুযায়ী বছরের পর বছর গৃহস্ত রমণীরা সৌভাগ্য, আয়ু এবং দাম্পত্য সুখ লাভের জন্য পালন করে আসছেন এই বিশেষ ব্রত।
হরিয়ালি তীজের দিন ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর সাথে ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। এই দিন হলুদ কাপড়ের উপর ঈশ্বরের মূর্তি স্থাপন করুন। তারপর ভগবান গণেশের ধ্যান করে পুজো শুরু করুন। সুফল পেতে এই দিন মা পার্বতীকে মধুর উপাদান নিবেদন করুন। হরিয়ালি তীজ ব্রত কথা পাঠ করতে ভুলবেন না। ব্রত পাঠের শেষে আরতি করবেন। এইদিন দেবীর উদ্দেশ্যে ১৬ টি উপকরণ নিবেদন করার রীতি রয়েছে।
মনে করা হয় মাতা পার্বতীকে মধুর সামগ্রী নিবেদন করলে, এই দিন দেবী মহিলাদের সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর দেন।এবার রবি যোগও হরিয়ালি তীজে গঠিত হচ্ছে। যার কারণে এই দিনের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রবি যোগ ৩১শে জুলাই দুপুর ০২:২০ মিনিট থেকে ১লা আগস্ট সকাল ০৬:০৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। বিবাহিত মহিলাদের জন্য এই ব্রত অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।