মনে মনে কিছু ভাবলেন বা বললেন, ডে’কে উঠলো টিক টিক টিক। যে ডেকে উঠলো সে কিন্তু কোনো মানুষ নয়, একটি নিরীহ টিকটিকি। কেউ কেউ অবশ্য এমন কু’সং’স্কারে বিশ্বাস করেন যে টিকটিকি ডেকে উঠলে সেই ভাবনা নাকি স’ত্যি হয়।
তবে টিকটিকি আমাদের কিছু উপকার যে করে না তা কিন্তু নয়। বিভিন্নরকম পো’কামা’কড় খেয়ে আমাদের ঘরদোর কিছুটা হলেও পরি’ষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে একটি সম’স্যাও আছে, টিকটিকি নিজেই ঘর নোং’রা করে আর এর মল বি’ষা’ক্ত! এই উপদ্রবকে চিরদিনের জন্য বাসা থেকে দূ’রে রাখার কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নিই ঘর থেকে টিকটিকি দূ’র করার সহজ ও চমৎকার কৌশল।
রসুন: রসুনের গ’ন্ধ টিকটিকি পছন্দ করে না। রসুনের কোয়া জানলার এক কোণে। বিশেষ করে ভেণ্টিলেটরের ভিতরে রাখুন। দেখবেন টিকটিকি আপনার বাসা থেকে দূ’রে রয়েছে। আপনি চাইলে রসুন পানিও ছি’টিয়ে দিতে পারেন টিকটিকির ওপর।
বরফ পানি: টিকটিকি শীতল র’ক্তের প্রাণী। টিকটিকি দেখলেই বরফপানি স্প্রে করে দিন। দেখবেন টিকটিকি ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এরপর এটি তুলে বাইরে ফে’লে দিন।
নেপথালিন: আমাদের প্রায় সবার বাসায় নেপথালিন থাকে। ঘরের যেখানে টিকটিক থাকে সেখানে নেপথালিন বল রেখে দিন। এটি আপনার ঘরকে টিকটিক থেকে দূ’রে রাখবে। শুধু টিকটিক নয়, আরও নানা পোকা থেকে এটি র’ক্ষা করবে।
ময়ূরের পালক: ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয় ময়ূরের পালক। এই পালকও টিকটিকির অপছন্দ। ঘরের ফু’লদানিতে কয়েকটি ময়ূরের পালক রেখে দিন। কিংবা ঘরের দেয়ালে কয়েকটি পালক লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার ঘরে আর টিকটিকি আসবে না।
পেঁয়াজ: টিকটিকি লুকানো জায়গাগুলোতে পেঁয়া’জের টুকরা রেখে দিন। পেঁয়াজের গ’ন্ধ টিকটিকি একদম সহ্য করতে পারে না। ফলে টিকটিকি সেই জায়গা থেকে দূ’রে থাকবে।
ডিমের খোসা: ডিমের খোসা টিকটিকিকে মা’নসিকভাবে দু’র্বল করে দেয়। ডিমের খোসা রেখে দিন টিকটিক আসার জায়’গায়গুলোতে। দেখবেন বাসায় টিকটিকি আসা ব’ন্ধ হয়ে গেছে। ৩-৪ সপ্তাহ পর পর সেটি পরিবর্তন করে ফে’লুন।