সিরিয়ালের ময়দানের লড়াইটা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বাংলা টেলিভিশনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্টার জলসা এবং জী বাংলা নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ নতুন ধারাবাহিক। তারই মধ্যে একটি হল ‘সোহাগ জল’। ইতিমধ্যেই অনেকে হয়তো দেখেও ফেলেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য ও হানি বাফনার এই সিরিয়ালের প্রথম পর্ব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই শুরু হয়েছে শ্বেতা ভট্টাচার্যের এই নতুন ধারাবাহিক। একদিকে প্রাণোচ্ছল মিষ্টি জুঁই আর অন্যদিকে গুরু গম্ভীর সিরিয়াস শুভ্র। প্রথম এপিসোড থেকেই বোঝা যাচ্ছে শুভ্রর লোভের কাছে বলি হয়ে গিয়েছে জুঁইয়ের পরিবার।
জমির লোভে জুঁইয়ের দাদার সাথে হাত মিলিয়েছে শুভ্র। যে জমিতে বৃদ্ধাশ্রম গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল জুঁইয়ের বাবা তা নিয়েই চলছে চক্রান্ত। আর সেই জমির লোভেই জুঁইকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে শুভ্র। এদিকে জুঁই এসবের বিন্দুবিসর্গও জানেনা।
অপরদিকে শ্বেতা ওরফে জুঁইয়ের বৌদি মোটেও রাজি নয় এই বিয়েতে। বিয়ের বিরোধিতা করতেই তাকে মার খেতে হয় স্বামীর কাছে। এদিকে শুভ্রর পরিবারের গল্প দেখানো হতেই দেখা হয় তার বিধবা বৌদি বিনির নজর শুভ্রর উপর। শ্বশুরবাড়ি থেকে তার আবার বিয়ে দেওয়ার কথা উঠলে বিনি বলে তার কেবল শুভ্রকেই চাই। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কটাক্ষও শুরু হয়েছে নেট মহলে।
সবে মিলিয়ে প্রথম পর্ব এটা বেশ ভালোই বুঝিয়ে দিল যে, গল্পে রয়েছে প্রচুর টুইস্ট। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে এখানে। জুঁই চরিত্রে শ্বেতার লুক,সাজ, পোশাক, অভিনয় সবকিছুই যথেষ্ট সাবলীল। এদিকে গ্রে শেডে হানি বাফনাও যথাযথ।
সর্বোপরি, জীবন মানেই ওঠা-পড়া কখনও সবল কখনও বা দুর্বল। শেষ থেকে শুরু করার এক ভিন্ন স্বাদের গল্প সোহাগ জল! এখন বিয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে এরকম ধোঁকা পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া হবে জুঁইয়ের, বা সে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়েই বা আসবে কীভাবে? জানতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে ‘সোহাগ জল’।