আসছে বছর আবার হবে’ -এর সুর তুলে দশমীর বিদায় বেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় পরের বছরে ক্যালেন্ডারের দিকে তাকানোর পালা। ফের একবছর পর কবে আবার মা দুর্গাকে দেখা যাবে, তার আশায় থাকে বাঙালি। এক বছরের উপেক্ষা পার করে চেনা পরম্পরায় ‘নতুন’ কে সাদরে আমন্ত্রণের বার্তাতেই রয়েছে মা দুর্গার আবাহনের হাতছানি। আর সেই পরম্পরা নিয়ে এক সুস্থ পৃথিবীতে করোনা মুক্ত অবস্থায় আগামী বছর দুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় বাঙালি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ২০২২ সালে দুর্গাপুজো কবে পড়েছে?
মহলয়া:
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে’ র রেশ ধরে উৎসবের আমেজকে আরও সতেজ করার রীতি কার্যত প্রতিটি বাঙালির রন্ধ্রে রয়েছে। আর এই চিরাচরিত নস্টালজিক ভাবধারাকে সঙ্গে নিয়ে আগামী বছরের মহলায়ায় এক করোনা মুক্ত ভোরের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্বজোড়া বাঙালি। যে শারদ প্রাতে সূর্যের দিকে মুখ করে নদীর আধ কোমর জলে দাঁড়িয়ে নির্ভয়ে তর্পণ করতে পারবেন ঘাটে ঘাটে জমায়েত করা মানুষ। সেরকমই একটি ভোরের আশা নিয়ে আগামী বছর দুর্গাপুজোর ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ রাখেন মানুষ। ২০২২ সালে মহলয়া রয়েছে রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ।
পঞ্চমী-ষষ্ঠী:
প্রাক করোনা আমলে যেভাবে ট্রাকের মাথায় করে মা দুর্গার মূর্তি পাড়ার প্যান্ডেলে আনার যে চেনা ছবি দেখা যেত তা কার্যত দেখা যাবে এই আশা নিয়েই ২০২২ সালে পঞ্চমীর সকালের অপেক্ষা বাঙালির। শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে পড়েছে মহাপঞ্চমী। দিনটি শুক্রবার। পরে বছর মায়ের বোধন , আমন্ত্রণ, চক্ষুদানের দিন পড়েছে ১ অক্টোবর । অর্থাৎ মহাষষ্ঠী পড়েছে ১ অক্টোবর। ষষ্ঠী পড়ছে শনিবার।
সপ্তমী-অষ্টমী:
২০২২ সালে নবপত্রিকা স্নান থেকে শুরু করে কুমারী পুজোতে কোনও করোনার ভয় থাকবে না , এমনই আশা রয়েছে মানুষের মধ্যে। আর সেই আশা নিয়েই ২০২২ সালে সপ্তমীর ভোর হবে ২অক্টোবর। একই দিনে রয়েছে গান্ধীজয়ন্তী। সে দিনটি রয়েছে রবিবার। অষ্টমী রয়েছে সোমবার ৩ অক্টোবর।
নবমী-দশমী:
আগামী বছর অষ্টমী পড়েছে সোমবার। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর পর পর দিনে যে দিনটিকে বাঙালি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে, সেই অষ্টমীর দিনটিই হল ৩ অক্টোবর। মহানবমীর দিন ২০২২ সালে পড়েছে ৪ অক্টোবর। বিজয়া দশমী পড়েছে ৫ অক্টোবর। সেদিন বুধবার। অর্থাৎ মায়ের গমন বুধবার হবে। সেদিনই েদশ দুড়ে ২০২২ সালে পালিত হবে দশেরা। যেদিন দুষ্টের ওপর শিষ্টের বিজয়ের দিন পালন হবে।