কত বছরে পা দিলেন ওপার বাংলার তারকা ফেরদৌস? গত মঙ্গলবার জন্মদিন পালন করলেও সেই প্রসঙ্গে একটিও শব্দ খরচ করেননি তিনি। তবে নিজের জন্মদিনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন কাছের মানুষের থেকে। কে তাঁকে এই উপহার দিয়েছেন তা জানাতে ভোলেননি এই নায়ক। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ফেরদৌস। একসময় ঋতুপর্ণা এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু সফল ছবিতে কাজ করেছেন। গত মঙ্গলবার ছিল এই নায়কের জন্মদিন। এদিনই তিনি জানান, একটি অসাধারণ উপহার পেয়েছেন তিনি যা একেবারে অবাক করে দেওয়ার মতো। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বনানী ডিওএইচএস এলাকায় এই নায়ককে ৫ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী তানিয়া। ফেরদৌসের স্ত্রী পেশায় পাইলট। জন্মদিনের স্ত্রীর থেকে এই উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নায়ক। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই কোনও না কোনওভাবে তানিয়া আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে। তবে ও যে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাট দেবে তা ভাবতে পারিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ৯ ডিসেম্বর ওপার বাংলার পাইলট তানিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ফেরদৌস। অনেকে জানলে হয়তো অবাক হবেন কিন্তু, এই নায়কের স্বপ্নও ছিল পাইলট হওয়া। আর সেই জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার সময় ফ্লাইং ক্লাবে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, পড়াশোনা শেষ করার পরেই ফেরদৌস পা দেন বিনোদন দুনিয়ায়। তাঁর ডেবিউ ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই তারকা। এরপরে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তবে জন্মদিনে কী উপহার পেয়েছেন তা বললেও কত বছরে পা দিলেন তিনি সেই বিষয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি এই অভিনেতা। জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে ওপার বাংলার তারকা ফেরদৌস প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি অত্যন্ত সাধারণভাবে জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করি। কিন্তু, এই একটা দিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। যাঁদের সঙ্গে সারাবছর দেখা হয় না তাঁদের সঙ্গেও এই দিনটায় কিছুক্ষণের জন্য দেখা হয়। আর এই আনন্দটাই আমি উপভোগ করি। এই দিনটাতে আমি কোনওদিন কাজ রাখি না।”