মনে হবে সাক্ষাৎ দাঁড়িয়ে রয়েছেন জীবন্ত মা কালী। রূপটানের এমন নিখুঁত কাজে রীতিমতো তাক লেগে গেছে নেট পাড়ায়। ভাইরাল হয়েছে মা জীবন্ত কালীর ছবি। বর্তমানে মেক-আপ আর্টিস্টের রমরমা হলেও শৈল্পিক নিখুঁত কাজ কজনইবা পারেন। সোদপুরের মুক্তি রায় পেশায় রুপটান শিল্পী। তার হাতেই দমদমের রিখিয়া রায়চৌধুরী হয়ে উঠেছেন জীবন্ত মা কালী। দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায় সেই ছবি।মডেল রিখিয়া রায়চৌধুরীকে সাজানো হয়েছে ‘বড়মা’র আদলে। এই ‘বড়মা’ হলেন উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির জনপ্রিয় ‘বড়মা’ কালী।
প্রত্যেক বছর কালিপুজোর সময় নৈহাটির অরবিন্দ রোডে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় মায়ের আরাধনার। নৈহাটির বড়মা প্রায় ২২ ফুট বা ১৪ হাতের। অসম্ভব সুন্দর বড়মায়ের এই রূপ দেশে-বিদেশে পর্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নৈহাটি বড়মার আদলেই মুক্তি রায় রিখিয়া রায়চৌধুরীকে সাজিয়ে তুলেছেন তার নিখুঁত শৈল্পিক গুণে। এর জন্য পাশাপাশি প্রয়োজন ছিল রিখিয়ার অদম্য ইচ্ছা এবং ধৈর্য। রূপটানের সময় তাকে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা টানা চোখ বন্ধ করে থাকতে হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবে তার ছবি তোলা থেকে শুরু করে চোখ আঁকা কিছুই নিজের চোখে সেভাবে দেখতে পারেনি। রিখিয়াকে বড়মার আদলে সাজাতে সময় লেগেছে প্রায় ৯ ঘন্টা। এই কাজে ৬ জন শিল্পী সমানভাবে সাহায্য করে গেছেন মুক্তিকে। রিখিয়ার কেশ সজ্জা করেছেন স্বরূপ দাশ। শিল্পীর এমন সূক্ষ্ম কাজে মুগ্ধ সবাই। অনেকের মতে ,মা কালীর অনেক রূপ দেখেছেন কিন্তু জীবন্ত এমন রূপের দৃশ্য একেবারেই বিরল। দেখলে মনে হবে সামনে জলজ্যান্ত দাঁড়িয়ে রয়েছেন মা কালী। অনেকে আবার এই দৃশ্য দেখে ভক্তিতে গদগদ হয়েছেন।