হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মনে শ্রীকৃষ্ণের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। বহু হিন্দু বাড়িতেই কৃষ্ণের পুজো করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের লীলাখেলা ভারতীয় সমাজে যুগ যুগ কাল ধরে প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি লীলাখেলা। সেই কারণে শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের রূপ নাড়ু গোপাল বা বাল গোপালের পুজো অনেকের ঘরেই হয়ে থাকে। ছোট একটি শিশুকে যে ভাবে লালন পালন করতে হয়, নাড়ু গোপালের আরাধনার মধ্যে রয়েছে সেই বাত্সল্য রস।
আপনার ঘরে যদি গোপালের পুজো প্রচলিত থাকে, তাহলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতেই হবে। জেনে নিন ঘরে গোপাল রাখার নিয়মগুলি।
* প্রথমে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যে ঘরে নাড়ু গোপাল থাকবেন, সেই ঘর গোপালেরই হয়ে যাবে। তাই ঘরে গোপাল থাকলে ‘এটা আমার বাড়ি’, এই ধারণা সবার আগে মন থেকে দূর করুন।
* ঘরে গোপাল থাকার অর্থ, নাড়ু গোপাল এখন আপনার পরিবারেরই একজন সদস্য। আপনার পরিবার এখন গোপালের পরিবার। তাই পরিবারের একজন সম্মানীয় সদস্যের স্থান গোপালকে দিতে হবে।
* পরিবারের সদস্যদের যা যা জিনিস প্রয়োজন, গোপালেরও সেই সব প্রয়োজন মেটানোর দিকে নজর দিতে হবে।
* গোপালকে যত ভালোবাসা দেবেন, আপনিও ততটাই আশীর্বাদ পাবেন।
* রোজ সকালে গোপালকে স্নান করাতে হবে। যেভাবে পরিবারের অন্যান্যরা শীতে গরম জল এবং গরমে ঠান্ডা জলে স্নান করেন, গোপালকেও সেই ভাবে স্নান করাতে হবে। স্নানের পর গা মুছিয়ে পরিষ্কার পোশাক পরিয়ে দিন।
* আপনার যেমন খিদে পায়, গোপালেরও সেরকম খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। সকালের জলখাবার থেকে বিকেলের টিফিন, সবই তাঁকে দেওয়া চাই। ঘরে বিশেষ কোনও পদ রান্না হলে গোপালের একটা আলাদা ভাগ থাকবেই।
* শীত ও গ্রীষ্ম অনুসারে গোপালের পোশাক ও বিছানা সেই অনুযায়ী হতে হবে।
* ছোট ছেলের মতো গোপালের খেলনা পছন্দ। তাই তাঁকে মাঝে মাঝে নতুন খেলনা এনে দিতে হবে। তাঁকে মাঝে মাঝে বাইরে ঘোরাতেও নিয়ে যেতে হবে।
* রোজ রাতে গোপালের বিছানা ভালো করে প্রস্তুত করুন। তারপর ছোট ছেলেকে যে ভাবে ঘুম পাড়াতে হয়, সেই ভাবে তাঁকে ঘুম পাড়ান।
* জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃ্ষ্ণের জন্ম বলে প্রচলিত বিশ্বাস। তাই এদিন গোপালের জন্মতিথি আয়োজনের ব্যবস্থা করুন।