সাপ কেবলমাত্র আত্মরক্ষার জন্য এবং ভয় পেলে ছোবল মারে। কিন্তু বহু মানুষ তা না জেনেই অগত্যা সাপ মেরে ফেলে। এজন্যই বর্তমানে সব রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে বহু রেস্কিউ টিম, এগিয়ে এসেছেন অনেক সর্প রক্ষক। কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয় সর্প রক্ষক হওয়া। এর জন্য ট্রেনিং নিতে হয় অনেক ছোট বয়স থেকেই।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক জায়গায় হঠাৎ ঘরের মধ্যে সাপ ঢুকে গিয়েছে। একটি খাটের তলায় ঝুড়ির নীচে ছিল সাপটি। সাপটি ক্রমাগত আক্রমণ করার চেষ্টা করে মোহাম্মদ আরিফ নামের এক ছেলে তাকে ধরতে গেলে।অনেক কষ্ট করে নিজেকে বাঁচিয়ে সাপটিকে ধরেন আরিফ। সাপটিকে বাইরে নিয়ে এসে আরিফ সাধারণ মানুষদের সাপ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে থাকেন।
নিউ জানান যে সাতটি দেখতে ছোট হলেও তার বিষ মারাত্মক বিষাক্ত। একটা কামড়েই মানুষকে ফেলে দিতে পারে মৃত্যুর মুখে। শেষ অব্দি নিরাপদ ভাবে তিনি সাপটিকে ব্যাগে ঢোকাতে সক্ষম হন।ভিডিওটিতে হাজার হাজার লাইক করেছে মানুষ। কমেন্ট বক্সে হাজার হাজার শুভকামনা আরিফের জন্য। এভাবেই আরিফের মত সর্প রক্ষকরা সাপের বিভিন্ন প্রজাতি বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
কারণ সাধারণ মানুষ যেকোন বিষধর সাপ দেখলেই তাকে মেরে ফেলে। কিন্তু সর্প রক্ষকরা সাধারণ মানুষকে সঠিক জ্ঞান প্রদান করে সাপের বিভিন্ন প্রজাতি বাঁচিয়ে রাখে।উপযুক্ত ট্রেনিং প্রাপ্ত হন সর্প রক্ষকরা। তাই প্রতিটি ভিডিওতে তারা বলে দেন সাধারণ মানুষ যেন এইরকম ভাবে সাপ ধরার চেষ্টা না করে, নচেৎ ফল হতে পারে মারাত্মক। সাপের বিষের প্রকৃতি, এমনকি আহত সাপের সেবা শুশ্রূষা করে তাকে বাঁচিয়েও থাকেন তাঁরা।
সর্প রক্ষকদের তাদের কাজকর্মের জন্য তাদের কুর্নিশ জানাই। পৃথিবীতে আজও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রয়েছে সংরক্ষিত এইসব মানুষদের জন্যই। কিন্তু মানুষ মূর্খতার সাথে বন্য প্রাণীদের মেরে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে, যার ফলে নষ্ট হচ্ছে খাদ্য-খাদক সম্পর্ক। সময় থাকতে মানুষ এখনও সচেতন না হলে এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।