প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে গান্ধার ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ। মহাভারতে তৎকালীন ভারতের ইতিহাসের প্রচুর কাহিনি রয়েছে। মহাভারত ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা জানেন না এমন ভারতবাসীর সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র।
গান্ধারীর অভিশাপের সূত্রপাত
সেই মহাভারতের কাহিনিতেই ছিল, গান্ধারী তাঁর ভ্রাতা শকুনিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। অভিশাপ অনুযায়ী শকুনির রাজত্ব গান্ধার প্রদেশ কোনদিনও শান্তিতে থাকবে না। বর্তমানের কান্দাহার প্রদেশ সেইসময় গান্ধার নামে পরিচিত ছিল। গান্ধারের রাজা ছিলেন রাজা ছিলেন সুবল। রাজা সুবলের কন্যা গান্ধারী এবং পুত্র শকুনি। গান্ধাররাজ আজ মারা যাওয়ার পর সিংহাসনে বসেন শকুনি।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ : শকুনির চাল
শকুনির প্রিয় ভগ্নী গান্ধারীর বিবাহ হয়েছিল অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে। আবার ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রদের থেকে পান্ডুর পুত্র অর্থাৎ যুধিষ্ঠির বয়সে সবথেকে বড় হওয়ায় হস্তিনাপুরের সিংহাসনের অধিকারী ছিলেন তিনি। তাই শকুনি ছলে বলে এবং কৌশলে নানানভাবে পরাজয় ও হেনস্থা করতে চেয়েছিলেন পান্ডবদের। তাঁরই ছল বুদ্ধিতে ঘটেছিল কুরুক্ষেত্রের মতো মহা যুদ্ধ। প্রাণ হারিয়েছিল গান্ধারীর ১০০ পুত্র। রক্ত ক্ষয় যুদ্ধে লাখ লাখ মাতা হারিয়েছিল নিজেদের পুত্রদের। অপরদিকে পান্ডবদের হয়ে কূটনৈতিক চাল দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
যুদ্ধ শেষে গান্ধারীর অভিশাপ
যুদ্ধশেষে পৃথিবী শান্ত হলেও শান্ত হয়নি মাতা গান্ধারীর যন্ত্রণা। পুত্রশোকে পাগলিনী প্রায় গান্ধারী শ্রীকৃষ্ণকে অভিশাপের সাথে নিজের ভ্রাতা শকুনিকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন। অভিশাপ অনুযায়ী গান্ধার প্রদেশ কোনদিনও সুখ ও শান্তিতে থাকতে পারবে না। মহাভারতে বর্ণিত ভৌগোলিক চিত্র অনুযায়ী বর্তমানে কান্দাহার প্রদেশ ছিল গান্ধার রাজ্য। তাই সাধারণ জনগণের মধ্যে পৌরাণিক কাহিনি নিয়ে এবং বর্তমানের পরিস্থিতি নিয়ে জোর তরজা চলছে।