৩১শে আগস্ট থেকে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ধুমধাম করে পালন করা হবে গণেশ চতুর্থী। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থীকে কেন্দ্র করে যে আয়োজন করা হয়, তার সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। গণেশ ভক্তরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, গণেশ আরাধনায় জীবনের সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই হিন্দু ধর্মে সমস্ত দেবতাদের আরাধনার আগে ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। ভগবান গণেশকে বলা হয় সৌভাগ্য বহনকারী এবং বিঘ্ন নাশক।
গণেশ পুজোর ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যেমন মূর্তি স্থাপন করা, ঘর সাজানো থেকে শুরু করে পুজোর খুঁটিনাটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, সংকট মোচক গণেশকে সুষ্ঠুভাবে মন দিয়ে আরাধনা করলে সংসারে সৌভাগ্য বজায় থাকে। পাশাপাশি আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গণেশ আরাধনায় সৌভাগ্য পেতে মেনে চলুন এই সামান্য নিয়মগুলি।
১। ভগবান গণেশের অত্যন্ত পছন্দের জিনিস হল দূর্বা ঘাস। গণেশ চতুর্থীতে আপনি পুজোর পর পুজোর ডালায় থাকা ২১টি দূর্বা ঘাস মাদুলিতে ভরে গলায় ধারণ করতে পারেন। মনে করা হয়, এর ফলে রোগ ব্যাধি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
২। ভগবান গণেশের ভোগে অবশ্যই রাখুন ২১টি মোতিচুরের কিংবা বেসনের লাড্ডু। তার সঙ্গে অবশ্যই নিবেদন করবেন ১০৮টি দূর্বা ঘাস।
৩। দশ দিন ধরে গনেশ আরাধনা করা হয়। তাই এই দশ দিন শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে গণেশ মূর্তি পুজো করার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মানতে হবে। গণেশ মূর্তি বাড়ির এমন স্থানে রাখতে হবে, যার সঙ্গে শৌচাগার কিংবা বাথরুমের কোন সংযোগ থাকবে না। গণেশ মূর্তির মুখ যেন বাড়ির সদর দরজার দিকে থাকে। বিশ্বাস করা হয়, এর ফলে বাড়িতে থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪। গণেশের পুজো করার সময় পুজোর ডালিতে রাখুন ১১টি লবঙ্গ এবং ১১টি গোটা সুপারি। পুজোর পরে এই উপাদানগুলি নিজের কাছেই রেখে দিন। যখন কোন কাজে যাবেন তখন তা সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫। ২১ টি দূর্বা ঘাস একসঙ্গে বেঁধে তাতে সিঁদুর এবং ঘিয়ের প্রলেপ লাগাবেন। এই জিনিসটি ভক্তি ভরে নিবেদন করবেন ভগবান গণেশের পায়।
৬। ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখতে পিতলের থালার উপর পান পাতা এবং বিজোড় সংখ্যক তিলের নাড়ু গণেশজিকে নিবেদন করুন। সবথেকে ভালো হয় যদি ওই থালায় মোদক রাখেন।