দৈনন্দিন আহারের ক্ষেত্রে ভাত, ডাল, ভর্তা, ভাজা, বাটা, শাক, শুক্তো, চচ্চোরি, পাাপোড়, মাছ ভাজা, মাছের তরকারি, সবজি, মাংস, ভূনা খিচুরি, পোলাও,লুুুচি , রুটি, পরোটা, দই , মিষ্টি , পায়েস ইত্যাদি প্রধান পদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।বাঙালির প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত।
প্রাচীন বাংলার রান্না:প্রাচীন বাংলার আহারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভাত, মাছ, মধু, দুধ এবং সবজি । বঙ্গ অঞ্চলটি প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজত্বের সময় দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক অঞ্চল ছিল; এবং পরবর্তীতে মুসলিম শাসন আমলেও।বাঙালি খাবারের বিভিন্নতা এবং বিচিত্র্তা ব্যাপক ও বিশাল।প্রাচীন যুগের কবি কালিদাস বলেছেন ‘আশ্বাস : পিশাচো হপি ভোজনেন’।
অর্থাৎ পিশাচকেও ভোজন দ্বারা বাগে আনা যায়। কথাটা হাস্যরসাত্মক হলেও বাস্তব সত্যের খুব কাছাকাছি। পরবর্তীকালেও বহু কবি এবং লেখক সুযোগ পেলেই সুখাদ্যের ব্যাখ্যায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। গৃহিণী যদি সু-রাঁধুনী হন তাহলে কর্তার মান ভাঙাতে বেশি অনুনয় করতে হয় না। প্রাচীনকালে রন্ধন শৈলীকে চৌষট্টি কলার অন্যতম কলা বলে গণ্য করা হতো।
বস্তুত রন্ধন শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সুকুমার কলা বলে গণ্য করা হতো। আদিম মানুষ সব খাদ্য কাঁচা খেতে অভ্যস্ত ছিল। আমিষ নিরামিষ সবই কাঁচা খেত। যেই আগুন আবিষ্কৃত হল অমনি কাঁচা ছেড়ে ঝলসে খেতে শুরু করল। ক্রমশ মানুষের রুচি বদলাতে লাগল।
কাঁচা খাওয়ার বদলে রেঁধে খাওয়ার রীতি শুরু হল এবং সেদিন থেকে রান্নার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হল এবং সব আবিষ্কারের মতো রান্নার নতুন নতুন পদ আবিষ্কার হতে থাকল। রন্ধনশিল্পীরা ক্রমশ খাদ্যের নানা রকম পদ সৃষ্টিতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।খাওয়া-দাওয়া পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। বাঙালি খেতে পছন্দ করে।
সে খাবার যদি হয় সুস্বাদু তাহলে তো আর কথাই নেই। আমরা সবাই খেতে ভালবাসি। এই পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে খাবার। প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন। বন জঙ্গলের শিকারি পশুরা নানা ধরনের প্রাণী শিকার করে তাদের আহারের ব্যবস্থা করে।
আবার অনেক প্রাণী ঘাস লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় হচ্ছে মানুষের খাবার। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ তার স্বাদ অনুযায়ী নানা ধরনের খাবার আবিষ্কার করেছে। দেশভেদে রয়েছে এসব খাবারের ভিন্নতা, বৈচিত্র ,স্বাদ।কথায় আছে ভোজন রসিক বাঙালি।
একথা থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে বাঙালি খাবার দাবারের ব্যাপারে এক বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে রাজি নয়।ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে এটা দেখা গেছে এক যুবতী খাবারের টেবিলের সামনে বসে ছিল।খাবারের টেবিলে ছিল বাসমতি চালের ভাত।আস্ত মুরগির রোস্ট, সাথে ছিল পাচটি ডিম।
প্লেটের পাশে কাঁচা পেঁয়াজ টমেটো।এই মেয়েটি প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে।কিছুক্ষণের মধ্যেই তার সেই ভর্তি প্লেট খালি করে ফেলে।অনেকের কাছে তার খাবারটা আশ্চর্যজনক হতে পারে। কিন্তু না যারা খেতে পারে তাদের কাছে এ খাবার কিছুই না।কারণ খাবারটা অতি সুস্বাদু ছিল খাবার দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউটিউবে 15 মিনিটের এই ভিডিওটি আপলোড হওয়ার সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে গেছে। নেট দুনিয়া নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন কমেন্ট সেকশনে। অনেকে তাকে খাবার-দাবারের ব্যাপারে সতর্ক করছেন। কেননা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।