হরিণ কেরভিডায়ে পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা স্ত’ন্যপায়ী প্রাণী। বল্গা হরিণ, মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ এবং চিত্রা হরিণ এদের কিছু উদাহরণ। চাইনিজ ওয়াটার ডিয়ার এবং মাদি রেইনডিয়ার জন্ম নেয় এবং প্রতিবছর নিজের শিং নিজে নিজেই কেটে ফেলে।
চিত্রা হরিণের দেহ লালচে বাদামী লোমযুক্ত চামড়া দ্বারা আবৃত যাতে সাদা সাদা ফোঁটা দেখা যায়। ফোঁটাগুলো ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত না থেকে আনুভূমিক রেখার উপর অনিয়মিতভাবে বিন্যাস্ত রয়েছে বলে মনে হয়।
গলার নিচে, পেট, লেজের নিচে ও চার পায়ের ভেতরের চামড়ার বর্ণ সাদা। হাঁটু থেকে পায়ের খুর অবধি হাল্কা সাদা বা ধুসর রং রয়েছে।এদের কাঁধ বরাবর একটি গাঢ় রেখা পিঠ দিয়ে লেজ পর্যন্ত চলে গিয়েছে। পুরুষ হরিণের রেখাটি অধিক দৃশ্যমান আর গাঢ় হয়।
পূর্ণবয়স্ক চিত্রা হরিণের কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ৩০ থেকে ৩৮ ইঞ্চি হয়। দেহ লম্বায় ৪২ থেকে ৫৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। লেজের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি। ওজন ৭৫ থেকে ১০০ কেজি (১৬৫ থেকে ২২০ পাউণ্ড) পর্যন্ত হয়। পুরুষ হরিণের উচ্চতা ও ওজন স্ত্রী হরিণের চেয়ে বেশি হয়।
কেবলমাত্র পুরুষ হরিণের শিং থাকে। সাধারণ শিঙের দৈর্ঘ্য ২২ থেকে ২৭ ইঞ্চি হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে ৭৫ ইঞ্চি (প্রায় আড়াই ফুট) পর্যন্তও হয়। শিং শাখা-প্রশাখা যুক্ত, সর্বমোট তিনটি শাখা দেখা যায়।
হরিণের শিং অনেকসময় পড়ে যায় আর আবার গজায়। শিং গজানো এবং শিং পড়ে যাবার সময়সীমা এক অঞ্চলে একেক রকম। বয়স এবং খাদ্যের উপরও শিং বেশি দিন থাকা বা পড়ে যাওয়া বা লম্বা হওয়া নির্ভর করে।