প্রতিভাকে গোটা দেশের সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়্যালিটি শোগুলির জুরি মেলা ভার। বহু বছর ধরে সেই কাজটাই করে চলেছে, সুপার স্টার সিঙ্গার। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে এই শোয়ের দ্বিতীয় সিজন। প্রায় প্রত্যেক এপিসোডেই জুড়ে থাকে প্রচুর গল্প ও আনন্দ।জনপ্রিয় সোনি চ্যানেলের এই গানের রিয়্যালিটা শোয়ে বিচারকের আসন অলঙ্কৃত করেছেন অলকা ইয়াগনিক, হিমেশ রেশমিয়ার মতো সঙ্গীতের মহারথীরা।
এই সিজনের অন্যতম খুদে প্রতিযোগী ছিলেন সাইশা গুপ্ত। ছোট্ট সাইশার বয়স কম হলেও কন্ঠে সুরের কোনো কমতি নেই। তার প্রতিভা বয়সের গন্ডী ছাপিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। সেইজন্যেই যখন মঞ্চে সাইশা উঠত বিচারকরা অপেক্ষা করত নতুন কিছুর জন্য। একটি বিশেষ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন শিল্পা শেঠি এবং চাঙ্কি পান্ডে। তাদের সামনেই মেন্টর পবনদ্বীপ রাজনের সঙ্গে ডুয়েট গান সাইশা। এদিন তাঁরা বেছেছিলেন “হাল ক্যায়সা হ্যায় জনাবকা” গানটি। এদিকে থেমে থাকেননি ঋতুরাজও। তাঁকে দেশের সবথেকে দুষ্টু বাচ্চার তকমা ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণ। এদিন সে গেয়েছে ‘মেরি সোনি মেরি তমান্না’ গানটি। সঙ্গে জুড়েছে ‘সারা জমানা’ গানটিও। তাকে কোরাসে সাহায্য করেছিল বাকি প্রতিযোগীরা। সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণও এদিন বেশ গান গাওয়ার মুডে ছিলেন।
তাই তিনি পরপর গেয়েছেন ‘রোতে হুয়ে আতে হ্যায় সব’ এবং ‘ওম শান্তি ওম’ গানদুটি। তার সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন জাভেদ আলিও। প্রাঞ্জলের গানে রয়েছে মাটির টান। তাঁর কথাবার্তা, পোশাকআশাকেও রয়েছে সেই ছোঁয়া। প্রতিটি এপিসোডে ধুতি পাঞ্জাবি আর দোতরা হাতে নিয়ে হাজির হয় সে। এটাই তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট। বেছে নেয় হারিয়ে যাওয়া গান, যে গান শুনলে মনে পড়ে প্রকৃতির কথা, গ্রামের ফেলে আসা মেঠো পথ আর টলটলে জলের পুকুরের কথা। এদিনের এপিসোডে প্রাঞ্জল গেয়েছে ‘মুসাফির হো ইয়ারো’ গানটি। তবে এই এপিসোডে যে সাইশা আর পবনদ্বীপের জুটিই সবথেকে বেশী নজর কেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবং মনে করা হয়েছিল যে হয়ত ফেজ-অরুনীতার জুটিকেও টপকে যাচ্ছে এরা। কিন্তু শেষে যদিও তা হয়নি। সেরার শিরোপা উঠেছিল অরুনীতার গ্যাংয়ের মহম্মদ ফেজয়ের মাথাতেই।