Friday , March 31 2023

এই শিবলিঙ্গ আরও কয়েক ফুট উঁচু হলেই নেমে আসবে মহাপ্রলয় !

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জ্যোতিষী পৃথিবীর ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এর পাশাপাশি এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা মহাপ্রলয়ের আগমনের ইঙ্গিত দেয়। ভারতে এমন দুটি মন্দির রয়েছে যেখানের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিবলিঙ্গ ও পাথর ধ্বংসের সংকেত বহন করে। এর মধ্যে একটি গুজরাটে এবং অপরটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। কোন অসনি সংকেতের দিকে ইশারা করছে এই মন্দিরগুলি জেনে নিন।

Shravana Month-এর দ্বিতীয় সোমবার আজ। শিবের আরাধনার জন্য মন্দিরে লম্বা লাইন। ভারতে শিবের একাধির শিবলিঙ্গ, জ্যোতির্লিঙ্গ ও স্বয়ম্ভূ লিঙ্গ রয়েছে। এমন কিছু স্বয়ম্ভূ লিঙ্গ রয়েছে, যাঁর আকার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার কিছু কিছু স্বয়ম্ভূ লিঙ্গের আকার ক্রমশ কমতে থাকছে। ভারতে এমন দুটি শিবলিঙ্গ বর্তমান, যাঁর আকৃতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই দুই শিবলিঙ্গের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত আকার মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দেয়।

গুজরাতের গোধরায় অবস্থিত মৃদেশ্বর মহাদেব মন্দির প্রলয়ের ইঙ্গিত দেয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই শিবলিঙ্গের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত আকৃতি কলিযুগের বাড়বাড়ন্তের প্রতীক। ধারণা যে, এই শিবলিঙ্গ সাড়ে আট ফুটের চেয়ে বেশি উঁচু উঠে মন্দিরের ছাদ স্পর্শ করে নিলে কলিযুগ নিজের শেষ পর্যায় পৌঁছে যাবে। উল্লেখ্য, প্রতি বছর একটি চালের দানার সমান শিবলিঙ্গের আকার বৃদ্ধি পায়। অতএব মন্দিরের ছাদ স্পর্শ করতে এখনও লক্ষাধিক বছর অতিক্রম হবে। মৃদেশ্বর শিবলিঙ্গের অপর একটি বিশেষত্ব হল যে এখানে নিজে থেকেই জলধারা নির্গত হয়। গরম হোক বা খরা, কোনও সময়েই এখান থেকে জল বেরনো বন্ধ হয় না। তবে এই সমস্ত ধারণা ও দাবীই লোককথা, এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও নেই।

পাতাল ভুবনেশ্বর ও কলিযুগের সমাপ্তির রহস্য:
মৃদেশ্বর মন্দির ছাড়াও উত্তরাখণ্ডের পিথৌরাগঢ়ের অবস্থিত পাতাল ভুবনেশ্বর গুহা মন্দিরও পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। পুরাণেও পাতাল ভুবনেশ্বরের উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশ্বাস অনুযায়ী এই গুহার গর্ভে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এই মন্দিরের প্রবেশপথ অত্যন্ত সংকীর্ণ। মনে করা হয় যে, সূর্য বংশের রাজা ও ত্রেতা যুগে অযোধ্যার শাসক রাজা ঋতুপর্ণা এই গুহার খোঁজ করেছিলেন। সে সময় এখানে নাগরাজ অধিশেষের সাক্ষাৎ পান তিনি। অধিশেষ ঋতুপর্ণাকে গুহার ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে অন্যান্য় দেবী-দেবতার পাশাপাশি শিবের দর্শনের সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি। মনে করা হয় যে িব স্বয়ং এই গুহায় থাকেন এবং দেবী-দেবতারা তাঁর পুজো করার জন্য সেখানে যান। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী কলিযুগে জগৎগুরু আদি শঙ্করাচার্য অষ্টম শতাব্দীতে মন্দির খোঁজ করেন। তখন তিন এখানে তামার শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন।

এই মন্দিরে ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশের– ত্রিদেবের পিণ্ড বর্তমান। প্রকৃতিই এখানে ত্রিদেবের জলাভিষেক করে। এই গুহায় সতযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের পাথরের প্রতীক হিসেবে চারটি পাথর স্থাপিত। এঁদের মধ্যে কলিযুগের প্রতীক যে পাথরটি তা সর্বাধিক উঁচু। তবে অন্য তিন পাথরের মধ্যে কোনও পরিবর্তন দেখা যায় না। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী যে দিন কলিযুগের পাথরটি ছাদ থেকে ঝুলতে থাকা পিণ্ডি স্পর্শ করবে, সে দিন কলিযুগের সমাপ্তি ঘটবে। তবে এটি কলিযুগের প্রথম পর্যায়, এর আয়ু এখনও আপাতত ৫ হাজার বছর। তাই অনেকের দাবী পৃথিবী এত তাড়াতাড়ি ধ্বংস হবে না।

Check Also

ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে মল মাস, এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

Malmaas 2022: হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি শুভ কাজ করার জন্য কিছু শুভক্ষণ বা মুহূর্ত থাকে। এমনও ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.