নাশতায় অমলেট বা ডিম ভাজি অনেকের প্রিয় খাবার।সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ার তাড়াহুড়ায় নাশতায় কিনবা মুখের স্বাদে ভিন্নতা আনতে পাতপ থাকে ডিম ভাজি বা পোচ। সকালের নাশতায় ডিম খেলে যে দ্রুত ওজন কমে, এই কথা এখন সর্বজনবিদিত। কেবল যে ফিটনেস এক্সপার্টরা এমন বলেন, সেটা নয়। বিজ্ঞানীরা রীতিমত গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন যে, প্রতিদিন সকালের নাশতায় সবজি বা ফলের সাথে একটি ডিম সম্পূর্ণ আহারের পুষ্টি দেয় শরীরকে। মেটাবলিজম বাড়াতেও সহায়ক।
সকালে একটি ডিম অনেকটা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি যোগায়। ফলে সারাদিনের অতিরিক্ত ক্ষুধা ও অধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলার বাজে প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যারা ডায়েট করছেন, সকালের নাশতায় একটি ডিম বা ডিমের সাদা অংশ অবশ্যই রাখবেন। তাছাড়া ডিম হলো কম খরচের প্রোটিন। বাচ্চা থেকে বুড়ো কিংবা গর্ভবতী মা সবারই ডিম হচ্ছে প্রোটিন এর মুখ্য উত্স।
আবার অনেকেই ডায়েট করেন জিম করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওজন কমানোর জন্য ডিমটা খাবেন কীভাবে? ডুবো তেলে পোচ করে ফেললেন কিংবা মাখন দিয়ে ঝাল ঝাল অমলেট করে নিলেই কি হবে? না, একদম না! যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ডিম খেতে হবে সঠিকভাবে। ডিমে যদি বাড়তি তেল-ঘি যোগ করেন, তাহলে ওজন কমার চাইতে বরং বাড়বে বেশি। তা ছাড়া পুষ্টি উপাদান ঠিক রাখার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে।
আজ জানিয়ে দিচ্ছি কীভাবে ডিম খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক। চলুন জেনে নেই কিভাবে তেল ছাড়া ডিম পোচ করা যায়। উপকরণঃ ডিম ৩টি প্রনালীঃ প্রথমে চুলাটি ধরিয়ে তাতে একটি প্যান বসিয়ে দিতে হবে। এবং এতে ২ গ্লাস এর মতো পানি দিয়ে দিতে হবে। এরপর পানি টাকে গরম হতে দিব। এরপর ৩ টি বাটি নিয়ে নিব। বাটি গুলোতে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিব।
এরপর আরও একটি বাটি নিয়ে তাতে একটি করে ডিম ভেঙে নিয়ে যে বাটিতে পানি রাখা হয়েছে তাতে ঢেলে দিতে হবে। এভাবে ৩ টি বাটিতে নিতে হবে। এরপর ডিম গওলোর উপর হালকা একটু লবণ আর হালকা গোল মরিচ ছিটিয়ে দিব। এরপর চুলার পানি ফুটে এলে ডিমের বাটি ৩ টি প্যান সাবধানে বসিয়ে দিব যাতে হাতে ছ্যাকা না লাগে। তারপর ঢেকে রাখব ৩ মিনিট। আর এটাকে হালকা আচে রান্না করতে হবে।যারা কুসুম টা একটু কাচা খেতে চান তারা এ পর্যায়ে নামিয়ে নিতে পারেন।
আর যারা আরও একটু সিদ্ধ খান তারা আরও ২ মিনিট সিদ্ধ করে নিবেন। মোটামোটি ৫ মিনিট সময় নিয়ে রান্না করবো। এরপর কড়াই থেকে উঠিয়ে বাটি থেকে সাবধানে অবশিষ্ঠ পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।এরপর একটি ছুরির সাহায্যে বাটির চারপাশে ঘুরিয়ে উঠিয়ে নিতে হবে। সকালের নাশতায় একটি ডিম খেলে দুপুরে ক্ষুধা কম হয়।আর এই অভ্যাস গড়ে তুললে তা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
সারা বিস্বেই সকালের নাশতা হিসেবে ডিম খাওয়া হয় সকালের এই দারুণ নাশতার সাথে আরওপুষ্টি যুক্ত করতে পারেন। এতে অসাস্থকর ক্যালরি গ্রহণ থেকে শরীর রক্ষা পাবে। আরো ভালোভাবে রান্নার রেসিপি টি বুঝার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিডিওটি একবার দেখে নিতে হবে। ভিডিওটি অনেক সহজ এবং খুব ছটপটে আপনি রেসিপিটি তৈরি করতে পারেন। যদি ভিডিওটি একবার দেখে নাকি ভিডিওটি দেখার জন্য নিচে দেওয়া হল দেখে নিন।