শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো দিয়েই। এবছর ১০ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi)। ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টা ৩৭ মিনিটে থেকে ১০:৪৪ পর্যন্ত রয়েছে অমৃতযোগ। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে পুজো হয় সিদ্ধিদাতার। সমস্ত সমস্যা, বাধা দূর করতে সিদ্ধিদাতার পুজো করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। গোটা দেশে আরাধনা হলেও মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোর জাঁকজমক অনেকটাই বেশি।
হিন্দু ধর্মমতে, ‘সংকট-মোচন’ গণপতির আরাধনা করলে সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। গণপতি বাপ্পার পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কিছু নিয়ম মেনে করুন গণেশ পুজো, মনোবাসনা পূর্ণ হবে অবশ্যই। গণেশ পুজোতে লাল কাপড় লাগে, তৈরি করতে হয় পঞ্চামৃত। পুজোর উপকরণে রাখতে হয় পৈতে। সুপুরি, পান, লবঙ্গ, ঘি, কর্পুর, গঙ্গাজল দিয়ে সিদ্ধিবিনায়কের পুজো সম্পন্ন হয়।
এই দিন মোদক, দূর্বাঘাস, গাঁদাফুল, জবাফুল এবং কলা দিয়ে বাপ্পার আরাধনা করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।সিদ্ধিদাতার পুজোয় প্রধান উপকরণ মোদক। মনে করা হয়, এটিই তাঁর পছন্দের খাবার। প্রসাদে মোদক রাখলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা লাভের পথ প্রশস্ত হয়। জীবনের পথে চলতে গিয়ে অনেক সময়েই বাধা আসে। এই পুজো করলে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গণেশের মূর্তি ঠাকুরঘরের কোথায় রাখবেন? কেমনই বা হবে বাপ্পার মূর্তি ? এই নিয়মগুলি না জেনে যদি কেউ সিদ্ধিদাতার পুজো করেন, তাহলে কিন্তু কোনও ফলই মিলবে না, উলটে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
১. কোথায় স্থাপন করতে হবে গনেশ মূর্তি: অনেকে গৃহের মঙ্গল ও ব্যবসার উন্নতি লাভের জন্য সিদ্ধিদাতার পুজো করেন। কিন্তু কোন স্থানে তাঁর মূর্তি স্থাপন করতে হবে, সে সম্পর্কে বেশিরভাগই জানেন না। তাই দিনের পর দিন আরাধনার পরেও তেমন কোনও ফল মেলে না। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির পূর্বদিকে যদি গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখা যায়, তাহলে সবথেকে বেশি সুফল মেলে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে উত্তরদিকে রেখেও পুজো করতে পারেন।
২. শ্বেত গণেশ: অনেকে বিশ্বাস করেন, বাড়ির ঠাকুরঘরে সাদা গণেশের মূর্তি স্থাপন করলে পরিবারে অশান্তির আশঙ্কা কমে। সেইসঙ্গে পরিবারে সমৃদ্ধি ছোঁয়া লাগে। তাই এবার থেকে গণেশ মূর্তি বাড়ি আনলে সাদা মার্বেলের মূর্তি আনুন!
৩. গণেশের শুঁড়: সিদ্ধিদাতার মূর্তি আনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, তার শুঁড় যেন ঠাকুরের বাঁ-হাতের দিকে বেঁকে থাকে। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে গৃহের উন্নতি হয়। সেইসঙ্গে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪. মোদক এবং বাহন: গণেশের হাতে মোদক এবং পায়ের কাছে বাহন, এমন মূর্তি বাড়িতে রাখলে গৃহের সুখ-শান্তি বজায় থাকে, তেমনি মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।