আমাদের দেশ বৈচিত্র্যময়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রচলন রয়েছে। খাবার-দাবার হোক কিংবা পোশাক-আশাক সবকিছুতেই রয়েছে অদ্ভুত রকমের পার্থক্য। তবে মোটামুটি প্রত্যেক সংস্কৃতির খাবার-দাবারের ক্ষেত্রেই পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রান্নার ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য।সাধারণত পেঁয়াজ ব্যবহার করে এর খোসা ফেলে দিয়ে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।তবে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এই পেঁয়াজের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি যা জানলে অবাক হবেন আপনিও। তাহলে আসুন আর দেরি না করে এই বিশেষ প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক।
খুব সহজেই এই পেঁয়াজের সাহায্যে আপনারা ত্বকের যত্ন করতে পারেন।যদি কারোর চা খাবার অভ্যাস থাকে সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজের খোসা মিশিয়ে চা পান করুন।এই খোসার মধ্যে ভিটামিন এ সহ বেশকিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ড্রাই স্কিনের সমস্যাও দূরীভূত হবে।।
পেঁয়াজের খোসা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায়শই আমরা সর্দি কাশি জনিত নানান ধরনের সমস্যায় ভুগি। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজের খোসা কাজে লাগতে পারে। এই সময়ে পেঁয়াজের খোসা মেশানো চা খেতে পারেন। এতে গলা ব্যথার মতো সমস্যা কমে যাবে। চুলের বৃদ্ধিতেও পেঁয়াজের খোসার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।এই খোসা জলের মধ্যে সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে দ্রুত চুল বৃদ্ধি পায় এবং খুশকির মত বড় সমস্যা দূরীভূত হয়। পেঁয়াজের খোসাতে সালফার থাকার কারণে এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
যদি আপনি ব্যথার সমস্যা এবার পেশীর খিঁচুনির মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি চা খেতে পারেন। যদি এই চায়ের মধ্যে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে তো আরো উপকারী। চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি এই চা খাওয়ার।
এছাড়াও এই পেঁয়াজের খোসা আপনাকে চুলকানির মত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করতে সহায়তা করতে পারে। এই খোসায় অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকানি র মত সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি লাভ করতে সাহায্য করে।এর জন্য আপনারা পেঁয়াজের খোসা ভালো করে জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে বোতলে ভরে নিন এবং প্রতিদিন ত্বকে লাগান।