Friday , March 31 2023

ঈশ্বর কণা নিয়ে গবেষণায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বাঙালি কন্যা! বাংলার মুকুটে নতুন পালক শ্রেয়সীর

সোশ্যাল মিডিয়ার আরো দুটি নাম আছে যথা নেট দুনিয়া এবং নেট মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই সিনেমা থেকে শুরু করে খেলাধুলা,নিমিষেই উপভোগ করতে পারি। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা বন্যা,ভারী বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত তথ্য নিমিষেই জেনে যেতে পারি। তাছাড়া আছে নাচ গান অসংখ্য ভিডিও। এছাড়া এই নেট দুনিয়া আছে বলেই কোনো প্রতিভা,একেবারে শুরুতেই শেষ হয়ে যায় না। প্রতিভাবান ব্যক্তিরা এই নেট দুনিয়াতে নিজেদের প্রতিভার ভিডিও আপলোড করেন এবং সেই ভিডিওটি নেটিজেনদের মধ্যে ভাইরাল হলে ওই প্রতিভাবান ব্যক্তি রাতারাতি স্টার হয়ে যান।

মেঘনাদ সাহা,প্রফুল্ল চন্দ্র রায় থেকে জগদীশ চন্দ্র বসু, সারা বিশ্বেই গবেষণা ও বিজ্ঞানের ইতিহাসে বাঙালিদের একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন শিলিগুড়ির শ্রেয়সী আচার্য। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতনগরে থাকেন তিনি। শ্রেয়সীর পদার্থবিদ্যার এক গবেষণা পত্র স্বীকৃতি আদায় করেছে আন্তর্জাতিক স্তরে। নাম জুড়েছে আরও চার প্রতিভাবান গবেষকের সঙ্গে। বিশ্বের অন্যতম বৈজ্ঞানিক সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ বা সার্ন-এর তরফ থেকে শ্রেয়সীকে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা পত্রের জন্য এলিট থিসিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।

ঈশ্বর কণার সঙ্গে জুড়েছে শ্রেয়সীর নাম। যে বিগ ব্যাং থিয়োরি বা ঈশ্বর কণার সঙ্গে নাম জুড়েছিল সত্যেন্দ্রনাথ বসুর। মূলত, প্রোটন কণার সংঘর্ষের পর বিগ ব্যাংয়ের পর মূহূর্তে উৎপত্তি হওয়া কণার উপর এই তত্ব। শ্রেয়সী নিজের গবেষণাপত্র লেখেন গত বছরের শেষে। ভারত সার্নয়ের অ্যাসোসিয়েট সদস্য হওয়ার সুবাদেই সেখানে গবেষণা করার সুযোগ পান তিনি শিলিগুড়িতে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদাথবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন শ্রেয়সী। সেখান থেকেই ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে গবেষক হিসেবে যোগ দেন।

২০২১ সাল থেকে সার্নয়ে কাজ শুরু করেছেন এবং বর্তমানে ফ্রান্সে এলিস গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছেন শ্রেয়সী। গত সপ্তাহেই সেখানে এলিস সপ্তাহ পালিত হয় এবং সেখানেই স্বীকৃতি দেওয়া হয় শ্রেয়সীর গবেষণাপত্রকে। আর এই খবরে এখন খুশির জোয়ার আচার্য পরিবারে ,শ্রেয়সীর বাবা পরিমল আচার্য জানিয়েছেন, “শ্রেয়সীর জন্য আমরা খুব গর্বিত। খবরটা প্রথম শোনার পর আমি কিছুক্ষন খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম”। যদিও শ্রেয়সী তাঁর বাবা মা এবং প্রত্যেক অধ্যাপক ও শুভানুধ্যায়ীদের অবদানের কথা বলেছেন এই সাফল্যের জন্য। প্রসঙ্গে শ্রেয়সী আচার্য বলেন, “আমি সত্যিই ভাবতে পারিনি এত বড় স্বীকৃতি পাব । আমার বাবা মা তো অবশ্যই, সঙ্গে আমার প্রত্যেক অধ্যাপক ও শুভানুধ্যায়ীদের এর পিছনে অবদান রয়েছে ।”সকলেই এখন শ্রেয়শীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

Check Also

অল্প বয়স থেকেই স্বাবলম্বী হতে চান ? ছাত্রদের জন্য রইল চমৎকার কিছু আইডিয়া

ছাত্রজীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল পড়াশোনা। বাবা-মা সব সময় চান যাতে তাদের সন্তানরা এই ...

Leave a Reply

Your email address will not be published.