পুজোর আগেই অজানা জ্বরে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছে সমস্ত শিশুর অভিভাবকরা । তার পাশাপাশি চিন্তিত হয়ে পড়েছে চিকিৎসকেরা, এই মুহূর্তে বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার জন্য অনেকের মধ্যে সর্দি কা-শি জ্ব-র ইত্যাদি উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে । সেগুলো একপ্রকার বলতে পারেন ভাইরাল ফ্লু কিন্তু ব্যা-কটেরিয়ার নিমোনিয়া হচ্ছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝবেন? বুঝার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে এবং লক্ষণ রয়েছে । কাজেই এই সমস্ত লক্ষণগুলি যদি আপনার শিশুর শরীরে দেখা যায় তাহলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ।
যে সমস্ত বাচ্চাগুলি ছয় মাসের কম অর্থাৎ কথা বলতে পারে না এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খায় তাদের উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে । যেহেতু তারা কিছু বাইরে প্রকাশ করতে পারছে না তাই অতি অবশ্যই চোখে চোখে রাখতে হবে তাদেরকে । তার পাশাপাশি মায়ের যদি কোন কারনে সর্দি হয় তাহলে অবশ্যই ডবল মাস্ক পড়ে শিশুর সামনে আসতে হবে । চিন্তার কোন কারণ নেই মাতৃদুগ্ধ থেকে কখনো কোন ভাইরাস ছড়ায় না ।
যদি আপনার শিশুর গায়ে ব্য-থা সর্দি হাঁ-চি এবং শ্বা-সক-ষ্ট থাকে তাহলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে তাকে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান । কারণ এই সমস্ত লক্ষণগুলি ভাইরাল ফ্লুর হলেও শ্বা-সক-ষ্ট কিন্তু অতিরিক্ত ভাবে চিন্তা বাড়িয়ে দেয় ব্যা-কটেরিয়াল নি-উমোনিয়া হওয়ার ক্ষেত্রে । তাই এই সমস্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অতি অবশ্যই আপনার শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা করেন ।
দিন দুই থেকে জ্ব-র৷ ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর৷ সাথে নাক দিয়ে কন্টিনিউ জল পড়া৷ হাঁ-চি ও কা-শি৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে ব-মির উপসর্গও থাকছে৷ কিন্তু এগুলো সব ভাইরাল ফ্লু এর উপসর্গ। আরেক দিকে ব্যা-কটেরিয়াল নি-উমোনিয়া হলে হাঁচি অথবা নাক দিয়ে জল পড়ে না৷ গা ব্যথা হয় সঙ্গে বু-কে স-র্দি, ঘরঘর কা-শি হয়৷ ব্যা-কটেরিয়াল নি-উমোনিয়াতে খুব বেশি মাত্রায় জ্ব-র থাকে৷
বাড়িতে থাকা কালিন অতি অবশ্য আপনি আপনার শিশুর উপর নজর রাখুন । যদি কোনো কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্যালাইন ড্রপ দিতে পারেন । এতে অনেকটা সুবিধা হবে । তবে যদি বয়স একটু বেশি হয় তাহলে গারগেল বা ভেপার নিতে হবে। এতে অনেকটা স্বস্তি মেলে । প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতে শুরু করলে ভবিষ্যতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলেই ধরে নেওয়া যাচ্ছে ।