প্রবল মনোবল ও জেদের মাধ্যমে সাফল্যকে ছিনিয়ে আনা যায়। কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় এবং কঠোর পরিশ্রমই মানুষকে সাফল্য এনে দেয়।কঠোর পরিশ্রম ও ইচ্ছা দিয়ে মানুষ যেকোনো প্রতিবন্ধকতাকে হার মানায়। ইচ্ছা, মনোবল, কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা দিয়ে মানুষ যে সমস্ত প্রতিব”ন্ধকতা,ও বাঁধা জয় করতে পারে তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন মোহাম্মদ আলম রহমান। মোহাম্মদ আলম রহমান একশো শতাংশ শা”রীরিক প্রতিব”ন্ধী।
ঠিকভাবে হাঁটাচলাই করতে পারেন না তিনি। তবে হাল ছাড়েনি মুর্শিদাবাদের তিনি। সমস্ত শা”রীরিক প্রতি”বন্ধ”কতাকে অতিক্রম করে মাধ্যমিকে সাফল্য পেল মোহাম্মদ আলম রহমান। গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যাপীঠের এই ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর 625। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বদ্যানাথপুর গ্ৰামে। তাঁর এই সাফল্যে খুশির বন্যা নেমেছে গোটা মুর্শিদাবাদে। বাংলায়- 91, ইংরেজিতে- 86, অঙ্কে- 98, ভৌতবিজ্ঞানে- 94, জীবন বিজ্ঞানে- 77 এবং ইতিহাস ও ভূগোলে যথাক্রমে 84 ও 95 পেয়ে মোট 625 নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করলো মোহাম্মদ আলম রহমান।
ছেলের সাফল্যে অত্যন্ত খুশি মা বলেন, “আগামীদিনে আমার ছেলে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই। তবে আমাদের তেমন সামর্থ নেই। তাছাড়া ওর এই অবস্থা। ভালো ভাবে পড়াশোনা করার জন্য যাতে কাছে কোথাও ওর পড়াশোনার ব্যবস্থা করা যায় তাঁর আবেদন করছি।” একদিকে যেমন মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় থাকা পড়ুয়াদের নিয়ে মাতামাতি। ক্যামেরার ঝলকানি। অন্যদিকে আড়ালেই থেকে যায় মোহাম্মদ আলম রহমানের মত অসম্ভবকে সম্ভব করা যোদ্ধারা। মোহাম্মদ আলম রহমান বর্তমানে সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তার দিকে প্রশংসার ঝড় তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা।